কিন্তু আসলে ডায়াসেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানলে, ডায়াবেটিসের রোগীরাও দীর্ঘদিন স্বাভাবিক সুস্থ জীবন উপভোগ করতে পারেন।
লক্ষণ:
• ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
• খুব বেশি পিপাসা লাগা
• বেশি ক্ষুধা পাওয়া
• যথেষ্ঠ খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া
• ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা
• ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া
• খোশ-পাঁচড়া, ফোঁড়া প্রভৃতি চর্মরোগ দেখা দেওয়া
• চোখে কম দেখা।
নিয়ন্ত্রণের জন্য যা করতে হবে:
• বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ও পরিমাণ মতো সুষম খাবার খেতে হবে
• নিয়মিত ব্যায়াম বা দৈহিক পরিশ্রম করতে হবে
• ব্যবস্থাপত্র সুষ্ঠুভাবে মেনে চলতে হবে
• শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
• পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে
• নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হবে এবং ফলাফল লিখে রাখতে হবে
• চিনি, মিষ্টি, গুড়, মধুযুক্ত খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে
• ধূমপান করা যাবে না
• শারীরিক কোনো অসুবিধা দেখা দিলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে
• ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো কারণেই ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা বন্ধ রাখা যাবে না
• তাৎক্ষণিক রক্তে শর্করা পরিমাপ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো
বন্ধুরা, যেকোনো রোগ হওয়ার আগেই সচেতন হলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের মতো রোগগুলোর পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজ করে অতিরিক্ত ওজন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।
আসলে সুস্থ সুন্দর রোগমুক্ত জীবন আমরা সবাই চাই, আর সুস্থ থাকার সবচেয়ে প্রধান উপায় হল শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখা। ওজন বেড়ে গেলে যেকোনো রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় বাড়তি ওজন অনেককেই মানসিকভাবে অস্বস্তিতে রাখে। তাই মানসিক শান্তি ও রোগের প্রতিরোধে প্রত্যেককেই উচিত বয়স ও উচ্চতা অনুসারে সঠিক ওজন বজায় রাখা।
অল্প খাবার বারে বারে খাওয়া, কিছু ক্যালরিবহুল খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে দেয়া, নিয়মিত হাঁটা, সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ, ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং চিন্তামুক্ত থাকার মাধ্যমে অনায়াসে ওজন কমানো সম্ভব।
যাদের পরিবারে বাবা-মা, ভাইবোনের ডায়াবেটিস আছে। তারা এখনই সচেতন হন। বিশেষ করে যাদের ওজন অনেক বেশি তারা হার্ট ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপসহ রক্তে টি এস এইচ, ব্লাড সুগার, লিপিড প্রোফাইল, ক্রিয়েটিনিন, হিমোগ্লোবিন ইত্যাদি পরীক্ষাগুলো করে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিন এবং তা মেনে চলুন।