চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট না হয়ে আসুন কেমন চুলের জন্য কী ধরনের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে জেনে নিই বিশেষজ্ঞের কাছে। আপনাদের জন্য এবারের পরামর্শ দিয়েছেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক রূপবিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম।
ফারনাজ বলেন, বাজারে এতো ধরনের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের ভীড়ে আমাদের চুলের জন্য জুতসই পণ্যটি বেছে নেওয়াটা বেশ মুশকিলই বটে। যেহেতু প্রত্যেকের চুলের ধরণ আলাদা, তাই আমাদের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারও কেনার সময় সে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
ঘন এবং কোঁকড়া চুল - চুল কোঁকড়া হলে, বাদামের তেল সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে চুল শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাবে। সেই সাথে আপানি ব্যবহার করতে পারেন ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার।
তৈলাক্ত চুল- যত্ন দরকার তৈলাক্ত চুলেরও। প্রতিদিন চুল ধোয়া বাধ্যতামূলক। এটি খুশকি হওয়া থেকে বিরত রাখবে। তৈলাক্ত চুলের জন্য ইউভি সমৃদ্ধ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল- এক্ষেত্রে এগ এবং অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। শুধুই শ্যাম্পু এমন চুলের জন্য উপযুক্ত না। নিয়মিত কন্ডিশোনিংও প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্থ চুলের জন্য আল্ট্রা ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
রং করা চুল – রং করা চুল নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গোড়া তৈলাক্ত হলেও আগা শুষ্ক থাকে। আপনার উচিত হবে চুলের আগা ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা আর নিয়মিত চুলের আগা ছেটে ফেলা।
বন্ধুরা সব ধরনের চুলেরই চাই বাড়তি যত্ন। আর এজন্য প্রোটিন ট্রিটমেন্টের কোনো বিকল্প নেই। চুলের হারানো সৌন্দর্য ফিরে পেতে মাসে অন্তত দুই দিন ডিমের প্যাক লাগান।
একটি ডিমের সঙ্গে একটি পাকা কলা, আধা কাপ টক দই, দুই টেবিল চামচ মধু দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।
এবার পুরো চুলে প্যাক মেখে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।