যারা দেখতে একটু মোটার দিকে তাদের জন্য পোশাক নির্বাচনে কয়েকটি টিপস:
আপনার শরীরের আকৃতি চিনে নিন। শরীরের আকর্ষণীয় অংশটিকে গুরুত্ব দিন।
শরীরের ওপরের অংশে যখন গুরুত্ব দেবেন তখন আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। জামার গলা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মোটা শরীর যাদের, তাদের ভি-শেপ অথবা চারকোনা গলা ভালো মানাবে। গলায় লেসের ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে গলার অংশটি কোমরের তুলনায় বেশি মনোযোগ পাবে।
যাদের চেস্টের দিকটা বেশি মোটা তারা ওপরের অংশের জন্য গাঢ় রং কিংবা বড় প্রিন্টের কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।
রং নিয়ে খেলুন। কালো, গাঢ় বাদামি, গাঢ় নীল এই রংগুলোকে প্রাধান্য দিতে পারেন। গাঢ় রং আপনাকে স্লিম দেখাতে সাহায্য করবে।
লম্বা স্ট্রাইপের জামা মোটাদের ভালো মানাবে।
একটু লম্বা কাটের জামা মোটাদের জন্য সঠিক হবে।
মোটা মেয়েরা শরীরের ওপরের অংশের জন্য গাঢ় রং-এর ওড়না কিংবা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন । জামায় দু পাশে লেসের ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে কিছুটা সরু দেখাবে ।
গয়নার ব্যবহার আপনাকে স্লিম দেখাতে সাহায্য করতে পারে। হাতে সুন্দর ব্রেসলেট কিংবা সরু কয়েকটি চুড়ি এবং আঙুলে দুটি আংটি পরতে পারেন। এতে আপনার হাতটি অন্যান্য অংশের তুলনায় নজর কাড়বে। মোটা মেয়েরা কানে একটু ঝোলানো দুল পরলে গলা কিছুটা লম্বা দেখাবে। এতে অনেকটা স্লিম দেখাবে ।
আপনার ঢিলেঢালা পোশাকগুলোকে আজই দর্জির কাছে নিয়ে যান। ফিটিং পোশাক আপনাকে স্লিম দেখাতে সাহায্য করবে ।
আমরা অনেকেই জুতার দিকে খুব একটা নজর দিই না। অথচ স্লিম দেখাতে জুতাও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কম হিলের জুতার বদলে চটি জুতা ভালো হবে। হিল পরতে চাইলে সরু হিল পরাই ভালো। মোটা হিলের জুতা কিংবা বুট জুতা ব্যবহার না করাই ভালো।
মোটা হবার কারণে চিন্তিত না হয়ে টিপসগুলো মেনে সঠিক পোশাকটি বানিয়ে ফেলুন। কখনো এমন পোশাক কিনবেন না যেটাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। স্বাচ্ছন্দ্যই সবচেয়ে বড় কথা। যে পোশাকটি পরে আপনি সবচেয়ে আরাম পাবেন সেটিই আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।