প্রয়োগের মাধ্যম যাই হোক না কেন, এর ব্যবহার মাত্র ১০ মিনিটেই আপনাকে দিতে পারে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি। তবে সুফল পেতে কৌশলগুলো নিয়মিতভাবে চর্চা করতে হবে।
শরীর ও আত্মার সংমিশ্রণ ঘটান
হাত-পা টান টান করে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। চোখ বন্ধ করুন। এবার হাঁটু উঁচু করে পায়ের পাতা ও গোড়ালি এক সঙ্গে জোড়া করুন। দুই পাশ থেকে হাত রাখুন পায়ের ওপর। জোরে শ্বাস নিন। বেশ কিছু সময় এভাবে থাকুন।
আপনি চেয়ারে বসেও কাজটি করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে বাইরে থেকে যেন পা দেখা না যায়।
মানসিক চাপ হাত ও পায়ের পাতার ওপর প্রভাব ফেলে। এর মাধ্যমে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
জোরে জোরে শ্বাস নিন
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করুন। এ জন্য আপনাকে বসতে হবে বা নির্দ্দিষ্ট কোনো সময় বেছে নিতে হবে বিষয়টি এমন নয়। আপনি দাঁড়িয়েও তা করতে পারেন।
শ্বাস নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন, আপনি ঠিকমতো কাজটি করছেন কিনা। এক্ষেত্রে আপনি এক, দুই, তিন, চার... গুণতে পারেন।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাস নেওয়ার বিষয়টি অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। কারণ, আমরা যখন মানসিক চাপে ভুগি, তখন স্বাভাবিক শ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে। আর জোরে জোরে শ্বাস নিলে তা স্বাভাবিক হয় এবং মুক্তি পাওয়া যায় মানসিক চাপ থেকে।
বাম নাকে শ্বাস
ডান হাত দিয়ে নাকের ডান পাশের ছিদ্র বন্ধ করুন। এবার কয়েক মিনিটি জোরে জোরে শ্বাস নিন।
একই পদ্ধতি অবলম্বন করে বাম নাকের ছিদ্র বন্ধ করেও কাজটি করতে পারেন। তবে বাম নাকে শ্বাস নেওয়াই উত্তম। এ ভাবে বেশ কয়েকবার করা যেতে পারে।
বাম নাকে শ্বাস নেওয়ার বিষয়টি হলো, এটি আমাদের মস্তিষ্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বাম নাকে শ্বাস নেওয়ার বিষয়টিকে ‘কুলিং নস্ট্রিল’ বলা হয়। কারণ, এটি আমাদের মানসিকভাবে ঠাণ্ডা রাখে।
ইয়োগা নিদ্রা
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে চাঙা করতে আজকাল অনেক পদ্ধতিই আবিষ্কার হয়েছে। তবে ইয়োগা নিদ্রা শরীরের জন্য বেশ উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে আপনাকে চিৎ হয়ে পা দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়তে হবে। ধীরে ধীর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিন। হাতের আঙুলগুলোকে বাতাসে ভাসিয়ে দিন। এবার ধীরে ধীরে ডান হাত তুলুন, তারপর বাম হাত।
এভাবে পাঁচ মিনিটের ব্যায়াম আপনার পাঁচ ঘণ্টার বিশ্রামের চেয়ে উপকারী।
আপনি চাইলে কর্মস্থলে চেয়ারে বসে, চোখ খোলা রেখেও এ ব্যায়াম করতে পারেন; যা আপনাকে মানসিক চাপ থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেবে।