ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ইতিহাসের মহানায়কের কাছে 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
ইতিহাসের মহানায়কের কাছে  টুঙ্গীপাড়া

দুদিন ছুটি পেলেই আমরা ছুটি নানা পর্যটন স্পটে। প্রিয় মানুষগুলোকে নিয়ে একদিন সময় করে না হয় ঘুরে আসি ইতিহাসের মহানায়কের কাছে। যেখানে বাঙালির-বাংলার-স্বাধীনতার মহানায়ক ঘুমিয়ে আছেন। 

দেশের ইতিহাস-বাংলাদেশকে ভালোবাসতে হলে, ভালোবাসতে হবে বঙ্গবন্ধুকে। জানতে হবে তার অবদান।

শেখ মুজিব একটি নাম নয়-ইতিহাস, যার স্বপ্নের সফল-রূপ স্বাধীন বাংলাদেশ।  

গোপালগঞ্জ জেলার নিলফা বাজার পেড়িয়ে মধুমতি নদীর তীরে পাটগাতি হয়ে টুঙ্গীপাড়া। রাস্তার অবস্থা বেশ ভালো। এখানেই শায়িত আছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বিশাল এলাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স। এত বড় আর এতোটা গোছানো যে মুগ্ধ হয়ে যাবেন।

সমাধি কমপ্লেক্সের পাশেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। রাস্তা ধরে কিছু দূর এগুতেই চোখে পড়বে লাইব্রেরি ভবন। ঐতিহাসিক ছবিসহ গ্যালারি ও নানা বই সম্বলিত লাইব্রেরি রয়েছে এখানে। পাশে চমৎকার স্থাপত্যের একটি মসজিদও রয়েছে। সব মিলিয়ে ঘুরে দেখার জন্য আদর্শ জায়গা। গোপালগঞ্জ শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে নির্জন নিরিবিলি এই উপজেলার আশেপাশের গ্রাম, ধানক্ষেত, নদী যে কাউকে মোহিত করবে নিশ্চিত। এমন মাটির সন্তানইতো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হওয়ার যোগ্য।  

টুঙ্গীপাড়া
যেভাবে যাবেন,  টুঙ্গিপাড়ায় আসতে পারেন খুব সহজে। ঢাকা থেকে যারা গোপালগঞ্জ  হয়ে টুঙ্গিপাড়া যেতে পারেন। গুলিস্তান থেকে গোপালগঞ্জের বিআরটিসি এসি বাস রয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া হয়েও টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। সায়দাবাদ থেকে ‘দোলা পরিবহন’ এবং ফুলবাড়িয়া থেকে ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’ নামে টুঙ্গীপাড়ার সরাসরি বাস সার্ভিসও রয়েছে। বাস ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে পাঁচ ঘণ্টার মত সময় লাগতে পারে। রাত্রি যাপনের জন্য আশেপাশে পর্যটনের একটা রেস্টহাউস ছাড়াও আরো কিছু রেস্টহাউসও রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স ছাড়াও গ্রাম-বাংলার সৌন্দর্য দেখে কাটিয়ে যেতে পারেন কিছু সময়।

লেখা ও ছবি: ফরিদ ফারাবী


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।