ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

নিজেকে দেখে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
নিজেকে দেখে নিন প্রাকৃতিক আয়না

আমরা নিজেকেই বেশি ভালোবাসি। এটা বললে খুব হয়তো ভুল বলা হবে না। আর নিজেকে দেখতে কেমন লাগে জানতে চাইলে ‍অনেকেই হেসে উড়িয়ে দেবেন, সঠিক উত্তরটি হচ্ছে- ‍অবশ্যই ভালো লাগে। তাই তো প্রতিটি ঘরেই অপরিহার্য-আয়না।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে চান?  

তবে যেতে হবে দক্ষিণ বলিবিভয়ার মরু অঞ্চলে। বলছি সালার ডি ইযুনির কথা-এটি এই লবণ-ভূমি।


রৌদ্রজ্জ্বল দিনে  একটু বৃষ্টিতেই এই শুভ্র লবণ-ভূমি রূপান্তরিত হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়নায়। যার সৌন্দর্য হার মানায় স্বপ্নের জগৎ।  

বর্ষাকালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লবণ-ভূমি হয়ে যায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়না। প্রাচীনকালে অনেকগুলি লেকের একসাথে মিলনের ফলে সালার ডি ইয়ুনির জন্ম হয়। লবণ-সমতল বা সল্ট-ফ্ল্যাট প্রতিবিম্বের সল্ট-ফ্ল্যাট খুব স্বচ্ছ আয়না হিসেবে কাজ করে। স্যাটেলাইটের শক্তি বা ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য এটা ব্যবহার করা হয়।

এই লবণভূমির আয়তন ১০ হাজার ৫শ ৮২ স্কয়ার কিলোমিটার। এটা আন্দিজ পর্বতমালার খুব কাছাকাছি অবস্থিত। তাই আকাশটা এখান থেকে দেখা যায় চোখজুড়ানো সৌন্দর্যে।  

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই আয়নার বুকে হাঁটার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। আপনি যখন এর ওপর দিয়ে হাঁটবেন তখন মনে হবে আপনি মাটি বা পানিতে নয়, হাঁটছেন আকাশের মেঘে, কোনো স্বর্গীয় জগতে। কারণ উপর নিচে স্বচ্ছ মেঘের আকাশ আর শুভ্র বর্ণের লবণ ছাড়া অন্য কিছু চোখে পড়বে না।

যাতায়াত ব্যবস্থাও বেশ ভালো বলা চলে। কাছাকাছি ওরুরো ও ভিলাজোন সিটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত ট্রেন। আর লা পাজ থেকে যেতে পারেন গাড়িতে। এছাড়া ট্যুর অপারেটরদের গাড়ি তো রয়েছেই। তবে সঙ্গে পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নিয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।