ষষ্ঠীর দিন থেকেই মূলত উৎসব শুরু হয়। সাদা কিংবা যেকোনো হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন ষষ্ঠীর দিন সঙ্গে হালকা সাজ।
সপ্তমীর দিন থেকে নবমী পর্যন্ত সকালে পূজার অঞ্জলি দিতে যাওয়ার সময় সুতি শাড়ি বেছে নিন। তবে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে একটু ভারী সাজতে পারেন। রাতের বেলা আত্মীয়স্বজনদের বাসায় ঘুরতে যাওয়া হয়। তাই এসময় সাজটি একটু গাঢ় হতেই পারে।
দশমীর দিন সাজা চাই একেবারে মনের মতো করে। এদিন সিঁদুর খেলা হয়। তাই লাল বা গাঢ় রং-এর পোশাক বেছে নেওয়াই ভালো। দশমীর দিন বেছে নিন তাঁত, জামদানি বা ঐতিহ্যবাহী গরদের শাড়িটি।
এই দিন, দিনের বেলায় মুখে, গলায় ও ঘাড়ে ফাউন্ডেশন হালকা করে লাগিয়ে নিন। এর ওপরে আলতো করে পাউডার এবং সামান্য বেজ কম্প্যাক্ট বুলিয়ে নিন। চোখের পুরোটা পাতায় আইশ্যাডো লাগান। চোখের ওপরের পাতায় আইলাইনার দিয়ে লাইন টেনে নিন। দুই গালে ব্লাসন বুলিয়ে দিন। লিপস্টিকের বদলে লাগান লিপগ্লস। আগেই চুল সেট করে নিন। খোপা করে ফুল দিতে পারেন অথবা ব্লো ডাই করে খুলে রাখুন।
রাতের সাজের সময় কোনো বাধা নেই। তবে সাজুন সময় নিয়ে, যত্ন করে।
প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে টোনিং করুন। ওয়াটার বেজড্ ফাউন্ডেশন মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এর ওপরে কম্প্যাক্ট পাউডার দিন। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চোখে গাঢ় রং-এর শ্যাডো লাগিয়ে নিন। চোখের নিচে কাজল দিন। চোখের ওপরের পাতায় আইলাইনার দিয়ে মোটা করে লাইন টেনে নিন। দুই বার করে মাশকারা লাগান। ঠোঁট এঁকে গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। শাড়ি পরলে মানানসই টিপ পরুন সঙ্গে হাতভর্তী কাচের চুড়ি। পূজা দেখার সময় অনেক হাঁটতে হয় তাই আরামদায়ক স্যান্ডেল পরুন।
একপেচে করে শাড়ি পরুন, দেখতে ভালো লাগবে। আর একটি কথা বাইরে ঘুরে মজা করে যত রাতেই বাড়ি ফিরুন আর যতই ক্লান্ত থাকুন না কেন, মেকাআপ না তুলে শুতে যাওয়া যাবে না।
ছবি: ওমেন্স ওয়ার্ল্ড