আমরা পুরো নিয়মটাকেই পাল্টে নিয়েছি। সকালে স্কুল, কলেজ, অফিসে যাওয়ার ব্যস্ততায় কোনো রকম নাস্তা করে বেরিয়ে যাচ্ছি, অনেকে তো সকালে খাওয়ারই সময় পান না, দুপুরে কাজের ফাঁকে একটু খেয়ে নেয়া।
এবার সারাদিনের কাজ শেষে পরিবারের সবাই এক হয়ে জমিয়ে আড্ডা দিতে দিতে ভুড়িভোজ। এরপর টিভি দেখতে দেখতে আবার কোনো খাবার এবং বেশিরভাগ সময়ই চিপস, চানাচুর-কেক, মিষ্টি। এরও পরে অনেকেই শখ করে একটু চা কফি খান, ঘুমের আগে ক্যাফেইন মানে রাতের ঘুমটাও ঠিকভাবে হয় না।
আমরা যতোই পরামর্শ পড়ি কিন্তু অনেকেই রাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা থেকে আসলে বের হতে পারিনা। যারা মাঝ রাতেও কিছু খেতে চান তারা কিছু কম ক্যালোরির স্বাস্থ্যকর খাবার ঘরে রাখুন, আর একটু বেশি খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কর্নফ্লেক্স বা সিরিয়াল খেতে পারেন লো-ফ্যাট দুধ দিয়ে। অবশ্যই বাড়তি চিনি দেবেন না।
ছোট এক বাটি দই খেতে পারেন। মাত্র ১০০-১৫০ ক্যালোরি পাবেন এতে, কিন্তু দই আমাদের মেটাবলিজম বাড়াবে আর অ্যাসিডিটি কমাবে।
মুরগির দুই পিস বুকের মাংসও খাওয়া যাবে। সঙ্গে নিন কিছু পলং শাক আর ওপরে দিন একটু অলিভ ওয়েল। এবার পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। আমরা সাধারণত মাংস যেভাবে ভুনা করে খাই এতে অনেক বেশি তেল মশলা দেওয়া হয়, ফলে ক্যালোরি-ফ্যাট সবই বেশি থাকে, ফলাফল মুটিয়ে যাওয়া।
একটা আপেল খান। এমনি এমনি খেতে ভালো লাগছে না? এক চামচ পিনাট বাটার দিয়ে নিন।
খাবেন নাকি, ক্রিমে ভরা চকলেট পুডিং? মাঝে মাঝে একটু খেয়ে নিন, মাত্র ৯০ ক্যালোরি পাবেন ছোট একটা পিস থেকে।
মাত্র চার ক্যালোরির একটা খাবার আছে! পুষ্টিগুণে ভরা ছোট একটা গাজর খান নিশ্চিন্তে।
রান্নাঘর গোছানো শেষে এখন আর কিছু করতে ভালো না লাগলে একটি কলা খেয়ে নিন। আশঁযুক্ত এই ফলটি থেকে আমরা প্রায় ১০০ ক্যালোরি পাচ্ছি।
তবে চেষ্টা করুন ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে থেকে কিছু না খাওয়ার।