একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ খাবার সোডা ও এক টেবিল চামচ লবণ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এই পানিতে রূপার গহনা দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
তেঁতুলের রস, লেবু ও সিরকা এক সাথে পানিতে মিশিয়ে রূপার গহনা ভিজিয়ে মুছে ফেলুন দেখবেন নতুন জেল্লা ফিরে পাবে।
অনেকেই রূপা আর স্বর্ণের অলংকার এক সাথেই একই বক্সে রাখেন। যার ফলে আকৃতি নষ্ট হতে পারে সোনার গহনার। তাই কখনোই একই বক্সে রূপা আর সোনার গহনা না রাখা ঠিক নয়।
স্বর্ণের গহনার রং কালচে হয়ে গেছে? যে জুয়েলারির দোকান থেকে অলংকার কিনেছেন সেখানে নিয়ে গেলেই ওয়ারেন্টি দেয়া সময়ে তা ঠিক করে দেবে জুয়েলারি কোনো ফি ছাড়াই।
আর ঘরে স্বর্ণের গহনা ডিটারজেন্ট পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর তা তুলে টুথব্রাশে পেস্ট নিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। দেখবেন সখের গহনা তার আগের রূপে ফিরে এসেছে।
মুক্তার গহনা যত্নের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে সচেতন হতে হবে আগেই। সমুদ্রের মুক্তার নাম করে চাষের মুক্তা দিয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। কারণ চাষের মুক্তা তুলনামুলক কম সময়ে কালচে হয়ে যায়। গহনার ব্যবহারের পরে বক্সে তা টিস্যু দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন।
অন্য সব গহনা বাড়িতে যত্ন নিতে পারেন। তবে হীরার গহনা পরিষ্কার নিজে ঘরে বসে না করাই ভালো। হীরার গহনার বেলায় জুয়েলারির দোকানে গিয়ে পরিষ্কার কারানো উচিৎ।
আজকাল নারীদের কাছে মেটাল ও পাথরের গহনার কদর বেশ বেড়েছে।
পাথরের গহনার কোনো পাথর দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেলে গ্লু দিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন। বেশি করে দিয়ে ট্যালকম পাউডার কিছুক্ষণ রেখে টুথব্রাশ দিয়ে তুলে ফেললে পাথরের গহনা ফিরে পাবে তার নতুন চেহারা।
মেটালের সব গহনা হালকা গরম পানিতে খাবার সোডা দিয়ে এক দুই মিনিট ভিজিয়ে রেখে নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
বন্ধুরা যে গহনাই কিনবেন, অবশ্যই জুয়েলারির মেমো সংরক্ষণ করবেন।