৩ ও ৪ নভেম্বর খাদি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরা, রাজদর্শন (হল-৩)-এ। ফ্যাশান ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি)’র এ আয়োজনে দেশ বরেণ্য ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজ করছেন তরুণরাও।
দেশীয় বস্ত্র খাদি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলানিউজকে আফসানা ফেরদৌসী বলেন, খাদি আমাদের অতি প্রাচীন বস্ত্র। তবে আজকাল এই কাপড়ের চল নেই বললেই চলে। আমরা যদি কাজ না করি সেই মোটা খদ্দর কাপড় আজকের দিনের তরুণদের কাছে ভালো লাগবে না, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের কাছে পৌঁছে দিতে ফ্যাশনেবল করে তৈরি করতে পারলে, খাদির হারানো এতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আর মাহিন খান, এমদাদ হক, ফারাহ আঞ্জুমান বারি, সৈবাল সাহার মতো অগ্রজরা আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। তারা আমাদের অভিভাবক, তাদের দেখানো পথে আমরা এগিয়ে নেব, নিজেদের ঐতিহ্যকে।
খাদির পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে অনেক না বলা কথা-চরকায় রয়েছে হাজারো তাঁতীর জীবনের গল্প। পটচিত্রে খাদির সে গল্প তুলে ধরেছেন আফসানা ফেরদৌসী।
এ প্রসঙ্গে ফ্যাশন ইনিস্টিটিউট অপ ডিজাইনিং-এর কর্ণধার ফারাহ আঞ্জুমান বারি বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দেশীয় কাপড় নিয়ে কাজ করছি। দেশীয় কাপড় দেশের তরুণদের কাছে ও বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে, তাদের আগ্রহ বাড়াতে খাদি উৎসবে বিদেশি ডিজাইনারদেরও অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
ফারাহ আঞ্জুমান এবারের উৎসবের জন্য থিম হিসেবে বেছে নিয়েছেন, আগের দিনে মায়ের গয়নাকে। গোলাপ বালা, কানের ঝুমকা থেকেই ডিজাইন নিয়েছেন তিনি।
ডিজিটাল হ্যান্ড পেইন্টে পোশাকগুলোতে আধুনিক কাট দেওয়া হয়েছে, অফহোয়াইটের পাশাপাশি করা হয়েছে সবুজ রং।
দুই দিনব্যাপী এ ফ্যাশন উৎসবে ১৯ জন বাংলাদেশি ও ৭ জন বিদেশি ফ্যাশন ডিজাইনার অংশ নিচ্ছেন।
দেশি কাপড়ের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর এই আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।