আপনার মস্তিষ্ক দুটি অংশে ভাগ করা থাকে। যা প্রায় গোল আকারের হয়ে থাকে।
মস্তিষ্কের উভয় পাশ দেখতে প্রায় একই রকম হলেও তাদের কাজে কিন্তু বেশ পার্থক্য রয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ বাম বুদ্ধিমান বা ডান-বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। যার অর্থ তাদের মস্তিষ্কের একদিক অন্যদিকের তুলনায় বেশি প্রভাবশালী।
বলা হয়, যাদের বাম পাশের মস্তিষ্ক বেশি সচল তারা বেশিরভাগই বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা করে থাকেন।
আর যদি আপনি হন অনেক বেশি সৃজনশীল বা শৈল্পিক ব্যক্তিত্বের মানুষ, তবে আপনার ডান মস্তিষ্ক বেশি প্রভাবশালী।
১৯৬০ সালে প্রথম এই তত্ত্বটি নিয়ে আসেন মনোবিজ্ঞানি রজার ডব্লিউ স্পেরি। তিনি বলেন, মস্তিষ্কের দুই অংশের সচলতার মাধ্যমেই মানুষের ব্যক্তিত্ব বোঝা যায়।
তার মতে, যাদের বাম পাশের মস্তিষ্ক সচল তাদের ব্যক্তিত্বে যুক্তি, বিবেচনা করে কাজ করা, সততা ইত্যাদির প্রতিফলন দেখা যায়। অন্যদিকে, যাদের ডান মস্তিষ্ক বেশি সচল তাদের ব্যক্তিত্বে কল্পনা, সৃজনশীলতা, সামগ্রিক চিন্তা এই দিকগুলো বেশি দেখা যায়।
এমন কি একটি গবেষণায় আবিষ্কার হয়েছে যে, মেয়েদের মস্তিষ্ক আকারে ছেলেদের থেকে ছোট হলেও তাদের ব্যক্তিত্বে আবেগ ও অনুভূতি বেশি থাকে। অন্যদিকে, ছেলেদের মস্তিষ্ক আকারে বড় হয়। কিন্তু আবেগ, অনুভূতি ও স্মৃতি ধারণের ক্ষেত্রে তাদের মস্তিষ্ক অনেক কম কাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
রিফাত/জেডএম/