কোন কথায় যে নাতাশা রিঅ্যাক্ট করবেন এটা বুঝতে পারেন না জয়। অনেক সময় বড় ইস্যুতেও রাগ করছেন না, আবার ছোট ছোট কথাতেই রেগে যাচ্ছেন, কখনও কখনও রাগারাগি যে হচ্ছে এটা পরিবারের অন্যরাও বুঝতে পারেন।
নাতাশাকে থামাতে গিয়ে জয়ও রেগে যান মাঝে মাঝে। ফলাফল কথা বন্ধ, পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। আর এগুলো নিয়ে যখন তৃতীয়পক্ষ কেউ বোঝাতে আসেন তখন এটা কেউই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না।
এবার ঝগড়া হয়, নাতাশা ব্যাগ গোছাচ্ছেন, জয় কী করবেন?
প্রতিটি পরিবারেই মান-অভিমান থাকবে। তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে এটা অনেক সময়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে যা করা যায়...
কথা বন্ধ...
একটি সম্পর্ক সুন্দরভাবে চালাতে অবশ্যই যোগাযোগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাগ হলে আমরা অনেক সময়ই এমন সব কথা বলে ফেলি, যার জন্য পরে অনুতপ্ত হই। সঙ্গী বেশি রাগ করেছেন! আচ্ছা তাকে একটু সুযোগ দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকতে পারলে, সমস্যা অর্ধেক কমে যাবে।
কষ্ট পেলে...
সঙ্গীর ছোট ছোট আচরণে কষ্ট পেলে আমরা সাধারণত বলি না। তবে এই না বলাটা জমতে থাকে। প্রথমে অভিমান হয়, এরপরে ক্ষোভ।
অন্যদিকে সঙ্গীও বুঝতে পারছেন না, আপনি যে কষ্ট পাচ্ছেন! এজন্য প্রথম থেকেই আপনার ভালো লাগা-খারাপ লাগা সম্পর্কে সঙ্গীকে ধারণা দিন।
সকালটা মিষ্টি কথায়
কোনো বিষয়ে দ্বিমত হতেই পারে। হতে পারে ঝগড়াও। তবে কোনো ঝগড়াই যেন রাত পেরিয়ে পরের দিন পর্যন্ত না গড়ায়। এজন্য দু’জনকেই আন্তরিক হতে হবে। তাই মিষ্টি হাসিতে দু’জন দু’জনকে শুভ সকাল বলে শুরু হোক প্রতিটি দিন।
একটু ছাড়...
প্রিয় মানুষটা সম্পর্কে বুঝতে পারলে অনেক সমস্যা এমনিই সমাধান হয়ে যায়। যদি বোঝেন সঙ্গী হয়তো একটু বেশি রাগ করেন, তবে তার মনটা ভালো। কিছুক্ষণ পর আবার সব নিজের মতো করেই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে দিন না হয় একটু ছাড়...।
সরি বলুন...
আমরা অনেকেই ‘সরি’ বলতে অস্বস্তিবোধ করি। ঝগড়া হয়েছে, এখন মনে হচ্ছে একটু বেশিই বলে ফেলেছি। এতোটা না বললেই হতো, বেশ তো সরি লিখে একটা মেসেজ দিন।
না হয় বাড়ি ফেরার সময় কয়েকটি তাজা ফুল আর চকলেট নিয়ে আসুন... সঙ্গে ছোট্ট সরি লেখা চিরকুট।
কথায় আছে... রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন! আমরা তো কেউ হারতে চাই না, তাই, নো ঝগড়াঝাটি...হতে পারে খুনসুটি।