আপনি জানেন কি, দুশ্চিন্তা অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন বৃদ্ধিরও অন্যতম কারণ? অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে আমাদের শরীর থেকে কর্টিসল নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের ক্ষুধা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এ কারণে, হার্টের বিভিন্ন সমস্যা কিংবা স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।
নিঃশ্বাস নিন
এক থেকে আট পর্যন্ত গুনুন এবং সেই সঙ্গে নিঃশ্বাস নিন। কিছুক্ষণ নিঃশ্বাস ধরে রাখুন, অতঃপর ছেড়ে দিন। এই অনুশীলনের মাধ্যমে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং ধকল কমবে।
স্ট্রেচ করুন ও সঠিকভাবে বসুন
কর্মক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাত-পা স্ট্রেচ করুন এবং সঠিকভাবে বসার অভ্যাস রপ্ত করুন। এতে করে আপনার শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার পেশী রিল্যাক্সড হবে। ডানে-বামে ধীরে ধীরে মাথা ঘোরান এবং পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন।
চা পান করুন
ধকল কমানোর জন্য এক কাপ চায়ের কোনো তুলনা হয় না। সবুজ চায়ে ‘থিয়ানিন’ নামক অ্যামিনো এসিড আছে যা আপনার ক্লান্তি কমিয়ে দেয় অনেকখানি। এতে করে আপনি শান্তিতে ঘুমাতে এবং কাজ করতে পারবেন। আপনি চাইলে গরম চা পান না করে ‘আইস টি’ উপভোগ করতে পারেন।
সুগন্ধী মোমবাতি জ্বালান
অ্যারোমাথেরাপি ধকল কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করে থাকে। কাজের ফাঁকে কিংবা বিশ্রামের সময় সুগন্ধী মোমবাতি জ্বালাতে পারেন। স্ট্রেসের কারণে যদি আপনার অতিরিক্ত খাবার প্রবণতা থাকে তবে বাম পাশের নাক চেপে ধরে মোমবাতির ঘ্রাণ নিন। এতে করে, দুশ্চিন্তা এবং অতিরিক্ত ক্ষুধা দুই-ই দূর হবে।
ঘুমানোর আগে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস দূরে রাখুন
পর্যাপ্ত না ঘুমনোর কারণে আপনি বিপর্যস্ত হতে পারেন। অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তার আগে অবশ্যই মোবাইল ফোন এবং টেলিভিশন বন্ধ রাখুন। শান্তিতে থাকার জন্যে ঘুম খুব জরুরি।
ঘুমের নিজস্ব পদ্ধতি তৈরি করুন
ঘুমের আগে একটি রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন। যেমন- কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়িতে ফেরার পর পরই গোসল সেরে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিন। একটি বই পড়তে পড়তে কিংবা হালকা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।
মাথার কাছে সুগন্ধী হ্যান্ড-লোশন রাখতে পারেন যা আপনাকে ঘুমের জন্যে পুরোপুরি তৈরি করে দেবে। ঘুমের সময় চোখে আই-মাস্ক পরিধান করতে পারেন। এটি আলো থেকে চোখকে নিরাপদ রাখবে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
বিএটি/এমজেএফ