• প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খান। একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে, রুটিন করে খাবেন।
• সকাল, দুপুর, রাত। তিন বেলায়ই ভাত খান। সম্ভব হলে চার বেলা খেতে পারেন। প্রতিবেলা ভাতের সঙ্গে প্রচুর আলু তরকারি হিসেবে খেলে ভালো ফল পাবেন। সঙ্গে ডালও যেন অবশ্যই থাকে।
• সকালের নাস্তায় দু’টি সেদ্ধ ডিম রাখুন। অর্ধ-সেদ্ধ হলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি কার্যকর।
• ভাতের পরিবর্তে সকালে পরোটা খেতে পারেন। তবে পরোটার সঙ্গে আলু ভাজি এবং সেদ্ধ ডিম অবশ্যই রাখুন।
• ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্যেই সকালের নাস্তা শেষ করুন।
• সকাল ১১টা থেকে ১২টার দিকে হ্যাম বার্গার, ভাজা খাবার কিংবা চিকেন ব্রেস্ট, চিকেন থাই, এসব খেতে পারেন।
• দুপুরে ভাতের সঙ্গে গরুর মাংস ও আলু খেতে পারেন। খাওয়া শেষে দুইটা কলা খেয়ে নিন। কলা মোটা হতে সাহায্য করে।
• বিকেলের নাস্তায় দুই ডিমের মোগলাই তৃপ্তি সহকারে খেয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একই খাবার খেতে ভালো না লাগলে গ্রিল কিংবা অন্য কোনো ধরনের কাবাব খেতে পারেন।
• রাতে বেশি ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। একইভাবে আলু এবং ডাল খাবার মেনুতে অবশ্যই রাখুন। খাবার শেষে দু’টো কলা এবং এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিতে পারেন।
• প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণ করুন। অনেকের ভারী খাবার গ্রহণের ফলে হজমে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে খাবার ব্লেন্ড করে নিন। যব, দুধ, কলা, বাদাম–এসবের জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
• প্রতিদিন অর্ধ লিটারের একটি পেপসি কিংবা কোক খেয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন বিরিয়ানি কিংবা তেহারি খেতে পারেন।
• আরও যা করবেন
-নিজেকে টেনশন মুক্ত রাখুন।
-রাত ১২টার মধ্যে ঘুমোতে যান এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীর ক্যালরি ধরে রাখতে পারে না।
-নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে কিংবা পরিশ্রম করলে ক্ষুধা বাড়বে।
সতর্কতা
ভুলেও কোনো ধরনের ওষুধ খেয়ে কখনও মোটা হতে যাবেন না। নিয়মিত খাদ্য তালিকা অনুসরণ করুন। এই প্রক্রিয়াটি দুই মাস শেষ হলে খাবার কমিয়ে ফেলুন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এমএসএ/এইচএ/