পানি পানে দিন শুরু করুন। সকালে উঠেই পানি পান করুন এবং গোসল করে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ ধুয়ে ফেলুন।
সকালে নাস্তা করুন। স্বাস্থ্যকর নাস্তা ক্ষুধা কমিয়ে আনে, সারাদিন ফুরফুরে রাখে।
খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। প্রোটিন হজম হতে অন্যান্য খাদ্যের তুলনায় বেশি সময় নেয়। একইসঙ্গে আদর্শ ওজন ধরে রাখতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খাবার তালিকায় বিশেষভাবে বাদাম যোগ করুন। বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা পেশী গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও বাদাম আমাদের শরীরে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়।
পোরশন-কন্ট্রোলড ডায়েট (খাবারের চাহিদা, ক্যালরি প্রভৃতি হিসাব করে গ্রহণ)। কোন খাবারের ক্যালরি কী পরিমাণ এবং আপনার চাহিদা কেমন তা পরিমাপ করে খেতে হবে।
চিনি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের পানীয় অপ্রয়োজনীয়ভাবে শরীরে ক্যালরি যোগ করে এবং যেটা চর্বিতে পরিণত হয়ে স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে গ্রিন টি, নারকেলের পানি ও মিষ্টি নয় এমন কোনো পানীয় পান করতে পারেন।
ফল খান। পানি এবং ফলের আঁশ আমাদের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে। ফল শরীর থেকে ক্ষতিকর চিনি অপসারণ এবং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তবে জুস করে নয়, আস্ত ফল খেতে হবে।
খাবার তালিকায় মৌসুমী সবজি রাখুন। সবজির আঁশও খাবার হজম এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চার ধরনের সবজি খাওয়া উচিৎ। সে ক্ষেত্রে সবজির সালাদ খাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
বাড়িতে খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ক্যালরি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশি খাওয়ার কারণে মূলত আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায়। এক সপ্তাহে যদি পাঁচবার আপনার বাইরে খাওয়ার অভ্যাস থাকে, একবার কমিয়ে মাত্র চার বারে নিয়ে এলে পরবর্তী এক সপ্তাহে আপনি পার্থক্য ধরতে পারবেন। ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে রয়েছে এমন চর্বিযুক্ত খাবার, ওলিভ ওয়েল, বাদাম বাড়িতে রাখুন।
গম থেকে উৎপন্ন খাবার বেশি খান। কারণ এতে পুষ্টির পারিমাণ অনেক বেশি।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে স্যুপ এবং সালাদ খাওয়া খুবই নিরাপদ। তবে অবশ্যই ক্রিম এড়িয়ে চলতে হবে।
নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করুন। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের দিকে নজর দেন। আসলে নিয়মিত কাজ করলে ডায়েটের প্রয়োজনও ততটা হবে না। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে সবসময়ই চর্বিমুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
লবণেরও লাগাম টানুন। অনেকে হয়তো জানেন না, লবণ কেবল চিনিই নয়, এটা ওজন বৃদ্ধির একটা বড় উপাদানও।
আমাদের প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। চাহিদানুযায়ী ঘুম না হলে মেজাজ যেমন বিগড়ে থাকে, তেমনি শরীরেও অস্বাভাবিকতা কাজ করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কারও পেট ভর্তি থাকলেও ক্ষিদে লাগে, যে কারণে সে অনেক খাওয়া হয়।