স্কুলের টিফিনের ফাঁকে সব বাচ্চারা যখন খেলতে যেত, তার তখন নার্সের কাছে ব্লাড সুগার মাপতে হতো, এভাবেই চলেছে টানা একটি বছর। এরপর একদিন স্কুলের সব শিশুদের নিয়ে তিন দিনের স্টাডি ট্যুরে যাওয়ার পরিকল্পনা হলো।
আজকের সফল লেখক চাঁদনী চাওলা বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্তুদের নিয়মিত সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ দিন ধরে। তার পরামর্শ মতো চলে অনেকেই সুস্থ জীবনযাপন করছেন।
মাত্র আট বছরের একটি শিশু (চাঁদনী) ইনসুলিন নেয়ার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে যেতে পারছিলেন না, তখন বাবার পরামর্শে তিনি নিজেই শরীরে ইনজেকশন নিতে শিখে নিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে ট্যুরেও গেলেন, তারপর ছোট্ট সেই শিশুর মনে হলো তিনি যেন এতদিনে স্বাধীন হলেন।
এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় তিনি নিজে ইনসুলিন পুশ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
তিনি বলেন, যখনই কারো সঙ্গে দেখা হয়, প্রথমেই জানতে চান, তোমার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আছে তো! উত্তরে হেসে জানাই আমি ছোট বেলা থেকেই চেষ্টা করেছি সুস্থ থাকার আর নিয়ম মেনে চলার। ডায়াবেটিস আমার নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপনের একটি পথ করে দিয়েছে। এটা নিয়ে আলাদা করে ভীত থাকার কোনো কারণ নেই।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য চাঁদনী চাওয়ালার পরামর্শ হচ্ছে, সব সময় ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে, আর এটি নিয়ে না ভেবে, সুস্থ-সুন্দর নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে।
অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চলতে হবে।
সূত্র: এনডিটিভি