বহু ত্যাগের, গর্বের আমার প্রিয় বাংলাভাষা। আমাদের হৃদয়ের কথা-মনের ভাষা, ভালোবাসা প্রকাশের ভাষা, যে ভাষায় কথা বলে, মা ডেকে, গান গেয়ে আমরা তৃপ্তি পাই, আমাদের হৃদয় জুড়ায়।
জীবনের প্রতিটি স্তরে বাংলাভাষার ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা পারি নিজের ভাষাকে বিশ্বদরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে। আর বাংলাভাষার চর্চা চালু রাখতে হবে ঘর থেকেই।
আমরা আজকাল বাচ্চাদের কথা শেখার সময় থেকেই ভিনদেশি কার্টুন দেখতে শেখাই। ছোট ছোট বাংলা ছড়া না মুখস্ত করিয়ে আমরা তাদের রাইম শেখাই ইংরেজি ভাষায়।
আরেকটু বড় হলেই তাদের ভর্তি করে দিচ্ছি ইংলিশ মিডিয়ামে, যেখানে হয়ত ইতিহাস হিসেবে পড়ানো হচ্ছে বৃটিশদের সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার। “র্স্মাট” শিশু প্রজন্মের কাছে অজানাই থেকে যায় ভাষার জন্য সন্তান(ভাষা শহীদ রফিক, শফিক, সালাম, বরকত জব্বারসহ অনেকেই) হারানো সেই বাংলার মায়ের কান্না।
একটি ভাষা মানুষ জন্মসূত্রেই পায়, কিন্তু আমরা বাঙালি জাতি ৫২ তে আন্দোলনের মাধ্যমে রক্ত দিয়ে-জীবনের বিনিময়ে এটিকে অর্জন করেছি।
জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বিদেশি নানা ভাষার আয়ত্ব নিশ্বয় করতে হবে। তবে নিজের ভাষাকে অবহেলা করে নয়। আর নিজের দেশ-ভাষাকে ভালোবাসার প্রথম পাঠ শিখতে হবে ঘর থেকেই।
প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি(আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস) এলে আমরা ভাষার প্রতি যে ভালোবাসা প্রদর্শন করি, এটা যেন সারা বছর, পুরো জীবন লালন করি। এই হোক এবারের ২১-এর চাওয়া...