শুক্রবার (৩০ মার্চ) বনানীর ১১ নাম্বার সড়কের ‘মোড়ে’ অনুষ্ঠিত ঝালমুড়ির একদিনের আসরে যোগ দিয়েছে ছয়টি ব্র্যান্ড। আর সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শত শত উৎসবপ্রেমী নগরবাসীর আগমনে জমে ওঠে মেলাটি।
মেলাতে বসেছে বাঙালির অন্যতম উৎসব বৈশাখ কেন্দ্র করে হাজারো পণ্যের পসরা। রয়েছে শাড়ি, গয়না, কামিজ, বাচ্চাদের পোশাক ও ঘরে তৈরি স্ন্যাকস্-কেক।
সকাল থেকেই আগমন ঘটে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের। এদের অনেকে ঝালমুড়ির আগের আসরগুলোতেও এসেছিলেন, অনেকের আগমন এবারই প্রথম। বড়দের পাশাপাশি এসেছে শিশুরাও।
ঝালমুড়ির সঙ্গে একদম শুরু থেকে যুক্ত ‘স্ট্রিংজে’র কর্ণধার তানজিলা আনিস প্রেমা বলেন, অনলাইনের ক্লায়েন্টদের কাছে সরাসরি উৎসবের উপহার নিয়ে হাজির হওয়ার লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল ঝালমুড়ি। আমরা প্রতিবারই চাই কিছু না কিছু নতুনত্ব উপহার দিতে। এবারের নতুনত্ব হিসেবে ঝালমুড়িতে সঙ্গে যোগ দিয়েছে নতুন তিনটি ব্র্যান্ড।
ছোট বোন ও বন্ধুকে নিয়ে ঝালমুড়ির আয়োজন ঘুরে দেখছিলেন রামপুরা নিবাসী শিমন শারমিন। তিনি পেশায় লেখিকা।
শিমন বলেন, ভিন্নধর্মী আয়োজন আমার সবস্ময়ই ভালো লাগে। তাই প্রতিবারই ঝালমুড়ির মেলাতে অন্তত একবার হলেও চলে আসি। এখানকার আয়োজকদের বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। সেইসঙ্গে উৎসবভিত্তিক পণ্যের পসারতো আছেই।
শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন কল্যাণপুর নিবাসী মিথিলা সালমিন। তিনি বলেন, মেলার সবচেয়ে ভাল লেগেছে স্মার্টি-নার্ডির কালেকশন। শিশুদের জন্য উৎসব ভিত্তিক পোশাক নিয়ে তাদের এক্সপেরিমেন্টটা খুবই প্রশংসনীয়।
মিথিলা জানান, নিজের জন্য শাড়ি-গয়নার পাশাপাশি নিজের সন্তানের জন্য বেশ কিছু বৈশাখী থিমের টি-শার্ট কিনেছেন তিনি।
ঝালমুড়ির মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এবারের ঝালমুড়িতে অংশ নিচ্ছে স্ট্রিংজ, সিক্স ইয়ার্ডস্ স্টোরি, কালেক্টিভ জাঙ্কশান, সুইট পটেটো, ফেরিওয়ালী, স্মাটি-নার্ডি ও হোম-মেড।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এনএইচটি/এসআইএস