রাজকীয় আয়োজনে হ্যারি-মার্কেলের বিয়ে কি পারবে বিয়ের ইতিহাসে অন্যদের সঙ্গে সবার মনে জায়গা করে রাখতে? যে বিয়েগুলোর কথা আজও সবাই মনে রেখেছে, তার মধ্যে রয়েছে:
জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ -রানী রানিয়া
মন দেয়া নেয়ার মাত্র কয়েক মাসের মাথায় রানিয়াকে নিজের জীবনের রানী করে নেন জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ। ১৯৯৩ সালে বিয়ের অনুষ্ঠানে সুন্দরী রানিয়ার স্বর্ণের নকশা করা বিয়ের পোশাক আজও অনেকের মনে রয়েছে।
প্রিন্স চার্লস –প্রিন্সেস ডায়ানা
মৃত্যুর বহু বছর পরেও বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর মানব সেরার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রিন্সেস ডায়ানার নাম। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিয়েটি সম্ভবত এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত রাজকীয় বিবাহ হিসেবে পরিচিত। প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের গাউনের মতো পোশাক এখনো বৃটেনের অনেক তরুণীরা নিজেদের বিয়ের দিন পরেন। ১৯৮১ সালে বিয়ে করেন চার্লস-ডায়ানা, ১৯৯৬ সালে তারা আলাদা হয়ে যান। পরের বছর একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় ডায়ানার মৃত্যু হয়। এই দম্পতির দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি।
মাহিসুরের রাজা যদুবীর কৃষ্ণ দত্ত পাত্রী রাজস্থানের রাজকুমারী ত্রিশিকা কুমারী সিং
বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি নিয়ে পড়েছেন মাহিসুরের মহারাজ যদুবীর কৃষ্ণ দত্ত। গত গ্রীষ্মে পুরো মাহিসুর রাজ্যের মানুষ দেখেছে রাজস্থানের রাজকুমারীর সঙ্গে কৃষ্ণ দত্তর সাত পাকে বাঁধা... শুভদৃষ্টি। রাজ পরিবারের সমস্ত আচার মেনেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে রাজ-কুমারের। বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীসহ দেশ বিদেশের বিশিষ্ট জনদের। বিয়ের জন্য ছাপা হয়েছিল সোনার কার্ড। ভারতের প্রাক্তন রাজপরিবারের ইতিহাসের সাক্ষী অম্বা বিলাস প্যালেসে দীর্ঘ ৪০ বছর পরে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডিক এবং ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি
ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডিক এবং ক্রাউন প্রিন্সেস মেরির বিয়ে এমন একটি প্রেমের গল্প যা চলচ্চিত্রের গল্পকেও হার মানায়। ২০০০ সালের অলিম্পিক দেখতে প্রিন্স ফ্রেডিক প্রথমবার সিডনিতে এসেছিলেন। এখানেই মরি এলিজাবেথের সঙ্গে তার দেখা হয়। একজন প্রিন্স আর অন্যজন খুব সাধারণ হলেও তাদের মধ্যে সম্পর্ক এতোই মজবুত হলো যে, পথের দূরত্ব-অবস্থানের দূরত্ব তাদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করতে পারেনি। তাই তো ২০০৪ সালে ঘর বাঁধেন দু’জন।