শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে যেমন বিভিন্ন চিকিৎসার মাধ্যেমে আমরা দ্রুত সুস্থ হতে পারি, মানসিক কোনো সমস্যা দেখা দিলেও ঠিক তেমনি অনেক সময় প্রয়োজন পড়ে বিশেষ পরামর্শের।
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বেশিরভাগ সময় আমরা এই ছোট ছোট মানসিক সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দেই না।
তবে জানতে হবে কখন সাইকোলজিস্টের কাছে যাওয়া দরকার? নানা কারণেই আমাদের মনে বিষাদ, রাগ, দুঃখ হতে পারে। এই অনুভুতি হয়ত কয়েকদিনেই চলে যায়। গেলে তো ভালো, কিন্তু যদি মন-খারাপ ভাব অনেক দিনেও না যায়, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে হবে।
কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে যে মানসিক উত্তরণ ঘটাতে পারি:
• পরিকল্পনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন
• দুশ্চিন্তা কমে যায় ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখি
• সিঁড়ি থেকে পড়ে যেতে পারি, অন্ধকারে দমবন্ধ হতে পারে, এধরনের ভয় দূর হয়
• মানসিক চাপ মোকাবিলা করে সুস্থ চিন্তা করার, সুখী হতে শেখায় কাউন্সেলিং
• দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। এই সমস্যার সমাধানও হতে পারে সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে
• মাদকাসক্তি থেকে বের হয়ে আসার জন্য কাউন্সেলিং জরুরি
• শুধু বড়দেরই নয় শিশুর আচরণগত সমস্যা সমাধানের পথও বাতলে দেন একজন কাউন্সেলর।
কাউন্সেলিং নিতে চাইলে...
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগে শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাউন্সিলিং ও সাইকোথেরাপি করা হয়। এর জন্য বহির্বিভাগে ১০ টাকা দিয়ে একটা টিকিট কাটতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (শাহবাগ,ঢাকা) এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে (কলেজগেট, ঢাকা) শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১০ টাকা টিকেটের কেটে এই সেবা গ্রহণ করা যাবে।
এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এসআইএস