নিউমার্কেটের আর্চিস গ্যালারিতে বড়দিনের উপহার হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে কার্ড ঘণ্টা, ছোট বল, বিভিন্ন সাইজের রঙিন পুতুল, চকলেট বক্স, মগ, ছবির ফ্রেম, চাবির রিংসহ নানা উপহার। আর উপহার আরও বেশি সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, রঙের মোড়ক এবং গিফট বক্স।
হাতিরপুলের হলমার্কের ২য় তলায় রয়েছে হাজার হাজার মরিচাবাতি ও ডেকোরেশনের সামগ্রী। এছাড়াও বড়দিনের অনুষ্ঠানকে আরও বেশি আনন্দঘন করতে এসব গিফট শপে পাবেন বড়দিনের বিশেষ বেলুন ও পার্টি স্প্রে।
গিফট শপগুলোর পাশাপাশি নগরীর অভিজাত শপিংমল বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত স্কয়ার, মেট্রোশপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, মাসকট প্লাজাসহ অন্যান্য শপিংমলে গেলেই চোখে পড়ে লাল-নীল মরিচাবাতিসহ ক্রিসমাস ট্রি।
দেশীয় সংস্কৃতিকে নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে তৎপর দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো। ক্রিসমাস ট্রি সেই সঙ্গে সান্তাক্লজ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ফ্যাশন হাউস যাত্রায় পাবেন বড়দিনের নানা উপহার সামগ্রী। কাপড়, পুঁতি দিয়ে বানানো বিভিন্ন সাইজের ডোরবেল, ছোট-বড় বল। প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার জন্য রয়েছে হাতে তৈরি কার্ড আর রঙ-তুলিতে আঁকা কারুকার্যময় খাম।
প্রতিবছরের মতো এবারও আড়ং তাদের ব্যতিক্রম উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছে। উপহারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সোনালি আর রুপালি ফুল দিয়ে সাজানো ডেকোরেটিভ হারিকেন। এছাড়া প্লাস্টিকের ফুল, পাটের দড়ি দিয়ে ঘণ্টা, বিভিন্ন রং, ডিজাইন ও সাইজের মোমবাতি।
বড়দিনের সাজ-সজ্জার কেন্দ্রে যে ক্রিসমাস ট্রি থাকে, সেটিও চাইলে উপহার হিসেবে দিতে পারেন। পাবেন নিউমার্কেটের নিচতলায়।
দরদাম : বিভিন্ন গিফট শপ ও ফ্যাশন হাউসগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের কার্ডগুলো পাবেন ৪০-৪৫০ টাকা, বড় সাইজের টুপি ৪০০-৬০০ টাকা আর ছোটদের জন্য সান্তাক্লজ টুপি ১৮০-২৫০ টাকা। নানা ধরনের পুতুল ১৫০ থেকে ৩৫০০ টাকা। ফটোফ্রেম ১৫০-২০০০ টাকা, ছবির অ্যালবাম ২০০ থেকে ২৫০০ টাকা, ব্রেসলেট ১৫০-১৪০০ টাকা, পায়েল ২২০-৭০০০ টাকা, মানিব্যাগ ৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকা। সান্তাক্লজ বড়দের পোশাক ১৫০০-৩৫০০ টাকা আর ছোটদের ১০০০-২০০০ টাকা। রং-বেরঙের মোমবাতি ৮০-৮৫০ টাকা।
বড়দিনের আনন্দ উদযাপনে প্রিয় মানুষটিকে পছন্দের ওয়ের্ষ্টান ডিজাইনের পোশাকের পাশাপাশি জুয়েলারি, ব্যাগ, জুতা, ওয়ালেটসহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই দিতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮
এসআইএস