দু’জনই সন্তানের বিষয়ে খুব সচেতন, ভালোবাসার কোনো কমতি নেই। সাধ্যমতো সব কিছু দিয়ে সন্তানের ভালো থাকা নিশ্চিত করতেই ব্যস্ত তারা।
আতিকও ভেতর থেকে গুটিয়ে গেছে, ঘরে ফিরে সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যান তিনিও, এরপর নিজের মতো থাকতেই পছন্দ করেন। সম্পর্কের এই শীতলতা সময় থাকতেই কমাতে না পারলে এর প্রভাব পড়বে সারা জীবন।
সন্তান নিশ্চয় গুরুত্ব পাবে তবে এজন্য দাম্পত্যে যেন দূরত্ব সৃষ্টি না হয় এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। সন্তান জন্মের পরও নিজেদের সম্পর্কে উষ্ণতা ধরে রাখতে যা করতে হবে:
• দু’জনে মিলেই বাচ্চার সব কাজ ভাগ করে করুন
• সন্তানের সব বিষয়ে আলোচনা করে নিন সঙ্গীর সঙ্গে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একা নেবেন না
• দু’জনের সঙ্গে যখনই কথা হয় সন্তান ছাড়াও নিজেদের কথা বলুন
• দিন শেষে সঙ্গী ঘরে ফিরলে সন্তানকে কারো কাছে রেখে নিজেদের মতো করে কিছুটা সময় কাটান, গল্প করুন
• বাচ্চার জন্মের পর সাধারণত মায়েরা একটু বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। অল্পতেই রেগে যান, এই সময়টায় সঙ্গীর উচিত তাকে সব ধরনের সাপোর্ট দেয়া
• বাড়িতে থাকতে থাকতে আপনার একঘেয়েমি দেখা দিতে পারে। আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
• মাঝে মাঝে দু’জনে কোথাও ঘুরতে যান
• সন্তান নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না, অনেক মা সন্তান নিয়ে আলাদা বিছানা বা রুমে চলে যান। এটা মোটেও করবেন না
• প্রয়োজনে বিছানা বড় করে নিন অথবা এক রুমেই ছোট আলাদা বিছানায় বাচ্চাকে রাখুন
• দাম্পত্যে শারীরিক সম্পর্কও জরুরি, সন্তান জন্মের পরে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না, নিজেদের সম্পর্কে উষ্ণতা ধরে রাখুন।
সন্তানকে দু’জনে মিলেই চোখের সামনে, যত্নে বড় করুন। তার প্রথম হাঁটা, বাবা-মা ডাক শোনার আনন্দ দু’জন মিলেই উপভোগ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসঅইএস