ওজন নিয়ে চিন্তিত হলেও, ব্যস্ততার কারণে এদের নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় নেই, ডায়েট করতেও চান না। তাহলে উপায়? নারী-পুরুষ সবারই যখন প্রায় একই প্রশ্ন, ব্যায়াম না করে বা খাওয়া না কমিয়েও কি ওজন কমানো সম্ভব? হুম, সম্ভব।
আসুন জেনে নেই ওজন কমানোর সেই কাঙিক্ষত গোপন রহস্য:
ভালো করে চিবিয়ে খান
খাবার খাওয়ার সময় একবারে অনেক খাবার মুখে দেবেন না। ছোট অংশ মুখে দিয়ে ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খাবার খান।
ডিভাইস থেকে দূরে
আগে প্রায়ই বলা হতো টিভি দেখতে দেখতে খেলে অনেক বেশি খাওয়া হয়। কিন্তু আজকাল শুধু টিভি না, হাতের প্রিয় ফোনটিও দূরে রাখুন। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের সময় মনোযোগ অন্যদিকে থাকলে কমপক্ষে ১০ শতাংশ খাবার বেশি খাওয়া হয়। আর এই বাড়তি খাবারটুকুই ওজন বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
বারে বারে পানি
দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করার কথা আমরা জানি। এই পানি অল্প অল্প করে সারাদিনে পান করুন। হালকা ক্ষুধা অনুভব করলেই খাবার না খেয়ে আধা গ্লাস পানি পান করুন। এটি অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকার অনুভুতি দেবে।
বাইরের জন্য ছোট প্লেট
ঘরের খাবারের চেয়ে বাইরের খাবার বেশি পছন্দ। চিপস, চানাচুর বা ফাস্টফুডের ছবি দেখলেও যদি খেতে ইচ্ছে হয়, তাদের জন্য সব খাবার বন্ধ করে দেয়া কঠিন। এরচেয়ে ভালো পছন্দের খাবার খান, কিন্ত ছোট প্লেটে। মানে এতদিন যদি বড় একটি বার্গার খেতেন, এবার থেকে ছোটটি অর্ডার করুন সঙ্গে গ্রিন সালাদ নিন। খাওয়াও হলো সঙ্গে কন্ট্রোলও।
পর্যপ্ত ঘুম
সুস্থ থাকতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। একটু খেয়াল করে দেখুন, যেদিন বেশি রাত জেগে কাজ করা বা মুভি দেখা হয় সেদিন রাতে ক্ষুধা লাগে। আর এসময়ের ক্ষুধায় আমরা চিপস, কেক, কুকিজই বেশি খাই। এগুলোও তো শরীরেই জমা হয়, বাড়তি ওজন হয়ে।
এবার লাল প্লেট
আমাদের মাইন্ড সেট থাকে লাল মানে বিপদজনক। যদি লাল প্লেটে খাবার খাওয়া হয়, তাহলে মস্তিষ্ক থেকে বারবার সিগন্যাল আসতে থাকবে খাওয়া শেষ করার। এজন্য পরিমাণে কম খেয়েই তৃপ্ত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসঅইএস