মূলত ঘুম কম হলেই আমাদের ক্লান্ত লাগে, ঘুম পায়। ব্যস্ততায়, সব কাজ গোছাতে গিয়ে রাতের ঘুমের সময় থেকে ছাড় দিতে হয় কাজের জন্য।
এজন্য যা করতে হবে:
৮ ঘণ্টা
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। রাতে ঘুম কম হলে তার প্রভাব আমাদের কর্মক্ষেত্রেও পড়ে। আর সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে কাজ করতে কষ্ট হয়। এজন্য ঘুমের নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যেতে হবে এবং একই সময়ে ওঠার অভ্যেস করতে হবে।
রাতে ভারী খাবার
সকালে ভারী ব্রেকফাস্ট ও রাতে অল্প খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে প্রতিদিন একই সময় খান। চেষ্টা করুন রাত নয়টার আগেই রাতের খাবার শেষ করতে।
ব্যায়াম
শরীর দুর্বল হলে অফিসে ঘুম পেতে পারে। সুস্থ থাকতে নিয়মিত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। অন্য কিছু করতে না চাইলে শুধু হাঁটুন।
বন্ধুত্ব
সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সিট ছেড়ে উঠে গিয়ে সহকর্মীদের খোঁজ নিন কিছুক্ষণ আড্ডা দিন। ঝিমুনি এসে কাজের ক্ষতি করার সুযোগ পাবে না।
পানির ঝাপটা
ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। বেশ কিছুক্ষণের জন্য ঘুম পালাবে।
চা-কফি
অফিসে এক কাপ গরম চা বা এক মগ কফি টনিকের কাজ করে। চা-কফি পানে ঘুম তো তাড়াবেই। সেই সঙ্গে আমাদের কাজ করার জন্য করে তোলে আরও চাঙ্গা।
শুকনো খেজুর
মরুভূমি অঞ্চলের মানুষ শুকনো খেজুর খেয়ে উত্তপ্ত পথে চলার শক্তি পায়। আমরাও এই খেজুর খেয়ে শরীরে দীর্ঘ সময় কাজ করার শক্তি পেতে পারি।
জরুরি কাজ সকালে
জরুরি কাজগুলো হাতে না রেখে, সকালের দিকেই সেরে নিন।
ডিনারের পর কফি
ডিনারের পর কফি খাবেন না। কফি খেলে দুপুর ২টার আগে খাওয়া ভালো। কারণ ক্যাফেইন শরীরের মেলাটোনিন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই রাতে কফি খেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
অফিসে কর্মচঞ্চল থাকতে ওপরের নিয়মগুলো মেনে চলুন। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে গুছিয়ে সময়মতো নিজের কাজ সম্পন্ন করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এসআইএস