জীবনে কোনো কিছুতেই সফল হতে পারবেন না বলেও মনে করেন তিনি। কোনো কিছুতে মনের মতো ফলাফল না এলে তাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রায়হান।
সমাজ, পরিবার, পড়াশুনা- এগুলো নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন এরা। অ্যাটিকফোবিয়ায় আক্রান্তরা সবসময় অন্যদের বলেন, আমি পারি না, আমাকে দিয়ে হবে না, আমি স্মার্ট নই ইত্যাদি। আর এই নেতিবাচক চিন্তাগুলোই তাদের আরও পেছনে ঠেলে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, জীবনে হার থাকবে, জয়ও থাকবে। একজন মানুষ শুধু হারবে না, আবার সব কিছুতেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য নাও পেতে পারেন।
অ্যাটিকফোবিয়া দূর করতে শিশুদের ব্যক্তিত্ব গঠনের সময় তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের বিষয়ে গুরুত্ব দেন তারা। কারণ ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে একেক সময় একেকটি শিক্ষা নিয়েই বড় হয় মানুষ। এজন্য অ্যাটিকফোবিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে গঠনমূলক কাজে সময় দেয়ার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিকল্পনা করে ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করাও জরুরি। একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ না করে একটি একটি কাজ মনোযোগ দিয়ে করুন, প্রতিটি কাজে সাফল্য আসতে থাকলে, দ্রুত ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পাবে।
এছাড়া নেতিবাচক কিছু ভাবার আগে নিজেকে বলুন, পৃথিবীতে সবকিছু জেনে কেউ জন্ম নেয় না। বরং পৃথিবীতে এসেই সবাই শেখে। আর সবাইকে সবকিছু জানতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
কাজে ভুল হতেই পারে। ভুল হওয়া মানে আপনি চেষ্টা করেছেন। বিষয়টিকে দুর্বলতা না ভেবে ইতিবাচকভাবে নিন। একবার ভুল হলে আবার চেষ্টা করুন, ভীতি দূর হয়ে সফলতা আসবেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এসআইএস