ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

করোনা ঠেকাতে প্রতিরোধ ক্ষমতা জানুন, বাড়াবেন যেভাবে 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২০
করোনা ঠেকাতে প্রতিরোধ ক্ষমতা জানুন, বাড়াবেন যেভাবে  করোনা ঠেকাতে

মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন মাত্র কয়েক দিনেই। শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ক্লান্তির মতো উপসর্গও নেই তাদের। আর এই দ্রুত সুস্থ হওয়ার মূলে রয়েছে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। 

আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন তা কীভাবে জানবেন? জেনে নিন সহজ কিছু নিয়ম: যদি দেখেন-

•    অ্যলার্জির সমস্যা থাকে

•    শরীরের বিভিন্ন অংশে র‍্যাশ বের হয়

•    প্রায়ই সর্দি-কাশি হয়, জ্বর আসে

•    শরীরে ক্ষত হলে সেটা শুকাতে দেরি হয় 

•    পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরেও সামান্য কাজেই ক্লান্তিবোধ করেন

•    এছাড়া অ্যাসিডিটি, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।  

এসব হলে বুঝতেই পারছেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

করোনা ঠেকাতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন-


প্রবায়োটিকস
প্রবায়োটিকস হলো ভালো ব্যাকটেরিয়া যেগুলো আমাদের খাদ্যনালী এবং অন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখে। দই, আচার, বাটার মিল্ক, পনির প্রবায়োটিকসের ভালো উৎস।
 

মধু
মধু শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেয় এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি করে এটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। এটি শরীরকে কষ্ট সহিষ্ণু করে তোলে এবং পেশীর ক্লান্তি দূর করে।  
 

গ্রিন টি
গ্রিন টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।

চাপমুক্ত থাকা
এই মহামারি এবং লকডাউন চলাকালীন চাপমুক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক খুব ভালো পরামর্শ দিয়েছেন তিনি বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আমরা যেন খুব বেশি হলে দিনে দু’বার নিউজ চ্যানেল বা বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে খবর সংগ্রহ করি এবং খারাপ পরিস্থিতির জন্য চাপ না নেই।

ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ
বয়স বাড়লে শরীরের রোগ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘস্থায়ী রোগ সেই প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলে। আমরা আমাদের বয়স কমাতে পারি না। কাজেই হাতে যা আছে তা হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানির মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণ করে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র যথাযথভাবে অনুসরণ করা।
 

ধূমপান বন্ধ করা
ধূমপান ফুসফুসকে দুর্বল করে এবং এসিই২ নামের এনজাইম উৎপন্ন করে যা ভাইরাসের জন্য ফুসফুসে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তাই এখনই ধূমপান বন্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


ওজন হ্রাস এবং বাড়িতে নিয়মিত অনুশীলন
নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মাধ্যমে বি এম আই অনুযায়ী সঠিক ওজন বজায় রাখা খুব জরুরি।  

খাওয়া-ঘুম
এই সময়ে শাকসবজি ও খাবার পানিসহ স্বাস্থ্যকর ডায়েট বাধ্যতামূলক। প্রতিদিন কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। উপযুক্ত ঘুম প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মধু ছাড়াও কালিজিরা, আদা, রসুন নিয়মিত খেতে হবে। সাধারণ সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, জ্বরসহ যেকোনো ধরনের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুব সাধারণ এই জিনিসগুলোই অসাধারণ কাজ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।