ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

এভাবেই এগিয়ে যাবে দেশীয় পণ্য

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
এভাবেই এগিয়ে যাবে দেশীয় পণ্য

বাংলাদেশের পণ্য আমাদের ঐতিহ্য আমাদের গৌরব। দেশীয় পণ্যের সিলেবাস করতে গিয়ে এই দেশের অনেক পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছি।

বাংলাদেশর ৬৪ জেলায় অনেক অনেক পণ্য রয়েছে যেগুলো  সম্পদ আমাদের দেশের জন্য। প্রচারের অভাবে  পণ্যগুলো অনেকের কাছে অজানা এবং  সঠিকভাবে প্রচারণা পাচ্ছে না।  

বর্তমানে ই-কমার্সের জন্য দেশি পণ্যের প্রচার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অনেক নতুন উদ্যোক্তা গর্বের সঙ্গে দেশি পণ্য নিয়ে নিজের উদ্যোগ শুরু করছেন। পুরো দেশে অনেক নারী আছেন যারা বিভিন্ন দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন এবং এই আয়ের ফলে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে। নিগার ফাতেমা

দেশীয় পণ্য নিয়ে উদ্যোক্তারা এগিয়ে যাচ্ছে কিন্ত স্বল্প প্রচারের জন্য,  ক্রেতা বা যারা দেশের জনসাধারণ রয়েছেন তাদের এই পণ্যগুলো সম্পর্কে তেমন জ্ঞান নেই বলে দেশীয় পণ্যের ক্রেতার সংখ্যা কম। অনেক অঞ্চলে ডেলিভারি সার্ভিসের ভালো ব্যবস্থা নেই। পাঁচ-দশ মাইল পথ এসে তারপর একজন উদ্যোক্তাকে তার পণ্য ডেলিভারি দিতে হচ্ছে তাও সেখানে নিশ্চিয়তা থাকছেনা তার কাস্টমার পণ্যটি সঠিক সময়ে পাবেন কিনা।  

একজন নারী ঘরে বসে অনলাইন ভিত্তিক সেবা দিতে গিয়ে কিছু  সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এখনও অনেক অঞ্চল রয়েছে যেখানে ইন্টারনেট সেবা সেভাবে পৌঁছায়নি। যার ফলে একটি উৎপাদিত পণ্যের এলাকা থেকে একজন দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা তার উদ্যোগ নিয়ে যথাযথভাবে এগিয়ে আসতে পারছেন না।

এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে  সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে দেশি পণ্য নিয়ে অধ্যায়ন চালু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দেশি পণ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সেমিনারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে দেশি পণ্য নিয়ে জানতে এবং ভবিষ্যতে দেশি পণ্য নিয়ে নিজেদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে তাদেরকে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।  

যেসব অঞ্চলের পণ্য সম্পর্কে আমরা অবগত নই বিভিন্ন মিডিয়া কাভারেজের মাধ্যমে তা প্রচার করতে হবে যেন একজন নাগরিক নিজের দেশের পণ্য সম্পর্কে জানতে পারেন। ফেসবুক এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা এসব প্রচারণা বৃদ্ধি করতে পারি। ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলো নিয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি তৈরি করে তা বিভিন্ন ভাবে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে তুলে ধরতে পারি। বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলো নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের কাজের নায্যমুল্য নির্ধারণের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলো আবার ফিরিয়ে আনতে পারি।  

গ্রামীণ নারীদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য যারা গ্রামে দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন যেখানে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনীতিতে নারীরা ভূমিকা নিশ্চিত করতে পারলে তা শুধু সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবেনা বরং দেশের মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পাবে।  

প্রতন্ত্ব অঞ্চলগুলোতে ডেলিভারি সেবা নিশ্চিত করতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে এবং এর জন্য সরকারকে তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারি সহযোগিতা এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ দেশি পণ্যের প্রসারে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।  

ভালো ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করনের লক্ষ্য জোড়াল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যেন একজন দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক নিজের উদ্যোগ এগিয়ে নিতে আগ্রহ না হারায়।  

দেশি পণ্য নিয়ে যারা কাজ করছেন সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে তারা তাদের জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশি পণ্যকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারেন এবং নিজের উদ্যোগে কী কী প্রয়োজন সে সম্পর্কেও জানতে পারেন।

একটি দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে সে দেশের নিজ পণ্যের প্রচার এবং প্রসার সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে হাজার হাজার দেশি পণ্য রয়েছেন তাই এই পণ্যগুলোকে যদি ভালোভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করা যায় তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতিতে দেশি পণ্য অবদান রাখতে পারবে।
 
 
লেখা: নিগার ফাতেমা 
স্বত্বাধিকারী: Ariya's Collection

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।