পুরো একটা বছর আমরা শুধু ঘরেই কাটিয়ে দিয়েছি-খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যাইনি। মহামারি করোনা আমাদের এই ঘরবন্দি করে রেখেছে, নিজেদের করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচাতেই আমরা নিরাপদে থাকার চেষ্টা করেছি।
তবে মানুষের ধৈর্য যেন আর থাকছে না। ঘর ছেড়ে বাইরে যাচ্ছি-শুধু কাজের জন্যই নয়, অনেকে দলে দলে ঘুরতে চলে যাচ্ছি। কাছে বা দূরে কোনো স্থানে। ফিরে এসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যেমে ছবি দিচ্ছি সাগর-পাহাড়-প্রকৃতির। আড্ডার-মজার মজার খাবারের-আরও কত ধরনের। আর এতেই বাড়ে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি।
ছবি দিলে সংক্রমণ বাড়ে কীভাবে? বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক দিন ঘরে থাকার পরে যখন দেখা যায় কাছের কোনো বন্ধু কোথাও ঘুরতে গিয়ে আনন্দ করছে, তখন অন্যরাও অনুপ্রাণিত হয়। দেখা গেল, কেউ হয়ত সমুদ্রে গিয়েছে, তো তিনিও রওনা দেন সমুদ্রসৈকতের দিকে। আর সেখানেই বাড়ে বিপত্তি। ঘুরে আসার পর হয়ত শুরু হলো জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা অন্য উপসর্গ।
পরীক্ষা করিয়ে দেখা গেল কোভিড সংক্রমণ হয়েছে। অথচ বেড়াতে যাওয়ার আগে পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। আর টেস্টের রিপোর্ট আসতে প্রায় দু’দিন লেগে যায়, এই সময়ে পরিবারের অন্যরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
আর এই পরিস্থিতির জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ডিসপ্লেকেই দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট করা একটা সাধারণ ছবিও হয়ে উঠতে পারে সংক্রমণ বাড়ার উপলক্ষ। ভ্রমণের ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যরাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেন। মহামারি করোনার এই সময় অনেকেই বেড়ানোর উৎসাহ পেতে পারেন এক বন্ধুর ছবি দেখে। কিন্তু সেই উৎসাহের মাত্রা বাড়লেই বাড়ে সংক্রমণের শঙ্কাও।
তাহলে কি ছবি দেওয়া যাবে না? নিশ্চয় যাবে। তবে সবার আগে নিজেদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। আর ঘুরতে গেলেও চেষ্টা করতে হবে কাছাকাছি কোথাও যেতে হবে ও বেশি মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এসআইএস