আয়ুর্বেদ হলো পাঁচ হাজার বছরের পুরনো বিজ্ঞান, যাকে আমরা এই আধুনিক সময়ে প্রিভেনটিভ সায়েন্স (প্রতিরোধক বিজ্ঞান) বা ন্যাচারাল সিস্টেম অব মেডিসিন (প্রাকৃতিক ওষুধ) বলে থাকি। আর এই প্রাকৃতিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে কাঁচা হলুদ।
হলুদ হচ্ছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়েটিক। এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও নানা উপকার পেতে পারি:
• অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে
• বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও কাজ করে এই গোল্ড মিল্ক
• হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে এবং ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া রোধ করে
• পলিফেনল এবং ক্যাচচিনের কারণে হলুদ হজমশক্তি বৃদ্ধি ও দ্রুত চর্বি গলাতে সাহায্য করে ও গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হয়
• দুধ-হলুদ লিভারের জন্য ভালো। একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, হলুদের পলিফিনল লিভারকে সুস্থ রাখে ও হেপাটাইটিসের চিকিৎসায় সহায়তা করে
• সর্দি জ্বরের ওষুধ হিসেবে এই দুধ পান করা হয়
• রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, টাইপ -২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
• হলুদ পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা শরীরে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না
• গর্ভাবস্থায় দিনে এক গ্লাস হলুদ গুঁড়া মেশানো দুধ পান করা ভালো
• এছাড়াও গায়ের রং উজ্জ্বল করে
• হলুদে উপস্থিত অ্যারোমেটিক টারমেরোন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
এছাড়া ত্বকের যত্নেও হলুদের জুড়ি নেই। মধু, কাঁচা হলুদ, দুধ ও তিলের তেল চুলায় অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। বাইরে থেকে ফিরে প্রতিদিন এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। শীতে উজ্জ্বল, কোমল ও দাগহীন ত্বক পেয়ে যাবেন খুব সহজে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এসআইএস