বিয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আর দাম্পত্য জীবন সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য সব দম্পতিই সর্বোচ্চ ছাড় দেন।
যত দিন যায় এই হার কমতে থাকে, এভাবে ১০ বছর বা এক দশক যারা সফলভাবে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করতে পারেন, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের প্রবণতাও অনেক কমে আসে।
ভালো থাকতে হলে দম্পত্য জীবনে সব কিছুতেই একইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সহযোগিতা, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ আর ভালোবাসার সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য রক্ষা করাও জরুরি।
যেমন সঙ্গীর সঙ্গে পরিবারের ভারসাম্য, নিজের আয়ের সঙ্গে সঙ্গীর চাহিদা পূরণের ভারসাম্য, বন্ধুদের সঙ্গে সময় দেওয়ায় ভারসাম্য, অফিসের কাজ-বাইরের ব্যস্ততার পরও দু’জনের জন্য একান্তু সময়ের ভারসাম্য। যে যত ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবেন, তার দাম্পত্য জীবন তত সুখী হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, দাম্পত্য স্থায়ী করতে প্রয়োজন ভারসাম্য রক্ষা করে চলা। কারণ দাম্পত্য সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর। এই সম্পর্ক ভালো হলে যেমন এর ভালোলাগার কোনো পরিসীমা নেই, কোনো ধরনের ব্যতয় হলেও এরচেয়ে খারাপ কিছু আর হয় না।
একসঙ্গে চলতে গেলে মত-পার্থক্য, অনেক কিছু না পাওয়ার হতাশা থাকবেই তারপরও দুই পক্ষকেই বিষয়গুলো মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
মিডিয়ায় এই সময়ে এসে যেখানে বছর না ঘুরতেই বেশিরভাগ ঘর ভেঙে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের জন্য অনুকরণীয় একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত ও তার সহধর্মিণী শিরী হায়াত (শিরীন)। ৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিবাহিত জীবনের ৫১ বছর পূর্ণ করলেন। ১৯৭০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারা যৌথভাবে পথচলা শুরু করেন। এই সফল-সুখী দম্পত্যির দুই সন্তান বিপাশা ও নাতাশা হায়াতও নিজেদের পারিবারিক ও ব্যক্তি জীবনে দারুণ সফল। তারাও বাবার মতোই জনপ্রিয়।
মনে রাখতে হবে, বিয়ের পর সম্পর্কটাকে আরও মজবুত করতে চাই দু’জনের নিবিড় বন্ধুত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
এসআইএস