মহামারি করোনার তাণ্ডবে প্রায় পুরো একটা বছর স্কুল বন্ধ। সকাল থেকে স্কুলের যে মাঠে শিশুদের হাসি-কলরবে মুখরিত থাকতো, দীর্ঘ একটা বছর সেখানে পা পড়েনি কোনো শিক্ষার্থীর।
যদিও শিশুরা এই সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা করেছে ও পরীক্ষা দিয়েছে। এবার অনলাইনের পাট চুকিয়ে আবার ক্লাসরুমে ফেরার প্রস্তুতি নিতে হবে শিশুদের।
যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত আসতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার। কয়েক দিনের মধ্যেই স্কুলের রুটিন জীবনে ফিরতে হবে তাদের। দীর্ঘ অনভ্যাসের পরে ব্যাগ গুছিয়ে স্কুলে যেতে কতটা প্রস্তুত ওরা? মনোরোগ চিকিৎসকদের মতে, সেই প্রস্তুতি শুরু করা উচিত এখন থেকেই। সেই শুরুতে যেমন স্কুলে দেওয়ার আগে তাদের মানসিকভাবে তৈরি করা হয়েছিল, এবারও তাই করতে হবে বাবা-মাকে।
অভিভাবকদের আশঙ্কা রয়েছে, দীর্ঘ দিন পরে শিশুরা স্কুল জীবনে কত দিনে আবার মানিয়ে নিতে পারবে। সেই সঙ্গে করোনার ঝুঁকির বিষয়টিও পুরোপুরি বাদ দেওয়া যাচ্ছে না।
ছোটদের বেশ অনেক দিন ধরেই জীবন-যাপনে পরিবর্তন এসেছে। যেমন সকাল ৮ টায় স্কুল থাকলে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে স্কুলে যাওয়া। এতো দিন স্কুলে যেতে হয়নি তাই অভ্যাসটাও চলে গিয়েছে, অনেক শিশুর। কিন্তু স্কুল খুললে আবার আগের নিয়মমতো উঠতে হবে। এখন থেকেই চেষ্টা করতে হবে শিশুকে সকালে ঘুম থেকে তুলে দিতে। শিশুর ব্যাগ গোছানো, সময়মতো টিফিন খাওয়ার অভ্যাসটাও এখন থেকেই চালু করতে হবে।
তাদের স্কুলের পোশাক বানাতে হলে, এটাও এখনই বানিয়ে রাখতে হবে। শিশুকে নিয়ে দু’একবার স্কুলে ঘুরে আসুন।
পাশাপাশি স্কুলেও মাস্ক পরা এবং বার বার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করা যেন ওরা ভুলে না যায়, সেটাও বাড়ি থেকেই বোঝাতে শুরু করতে হবে।
অবসাদ কাটিয়ে স্কুলে যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। অচিরেই শেষ হবে শিশুদের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে টিফিন ভাগ করে খাওয়ার অপেক্ষা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
এসআইএস