বাবা-মা চিন্তায় থাকেন তাদের শিশুরা কিছুই খেতে চায় না। আবার অনেক বাবা-মায়ের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় শিশুদের বাড়তি ওজন বা ওবেসিটি।
নানা কারণে শিশুরা মুটিয়ে যেতে পারে। ফাস্টফুড-মিষ্টিসহ অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে বেশি ক্যালরি গ্রহণ, করোনাকালে শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া বংশগত কারণেও বাড়তে পারে শিশুর ওজন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২ বছর বয়সের পর থেকেই শিশুদের স্থুলতা আছে কিনা সেদিকে নজর দিতে হবে। শিশুদের স্থুলতাকে প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হবে।
বয়স অনুযায়ী শিশুদের স্বাভাবিক ওজন কত থাকতে হবে তার একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হলো(কিছুটা কম-বেশি হতে পারে)। ১ বছরের শিশুর ওজন হতে হবে ১০ কেজি, ২ বছরে ১২ কেজি, ৩ বছরে ১৪ কেজি, ৪ বছরে ১৬.৫ কেজি, ৫ বছরে ১৮.৫ কেজি, ৬ বছরে ২১ কেজি, ৭ বছরে ২৩ কেজি, ৮ বছরে ২৫.৫ কেজি, ৯ বছরে ২৮ কেজি, ১০ বছরে ৩১.৫ কেজি , ১১ বছরে ৩৩.৫ কেজি, ১২ বছরে ৩৮ কেজি।
নিয়মিত খেলাধুলার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। সেসঙ্গে ভিডিও গেম ও ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে শিশুদের। কারণ স্থূলতার জন্য শিশুদেরও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শিশুদের ভাই-বোন ও বন্ধুদের সঙ্গে খাবার ভাগাভাগি করতে শেখাতে হবে। আর বাইরের খাবারের চেয়ে বাসায় তৈরি খাবার বেশি খাওয়াতে হবে।
নিজেরা চেষ্টা করার পরও যদি শিশুর ওজন না কমে তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
এসআইএস