ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

করোনাকালীন সঙ্গী অক্সিমিটার

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২১
করোনাকালীন সঙ্গী অক্সিমিটার

করোনায় সবচেয়ে বড় আতঙ্ক কখন আবার শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে।

খুব সহজে অক্সিজেনের মাত্রা দেখা যায় অক্সিমিটারের সাহায্যে। এই যন্ত্রটি আঙুলের ডগায় লাগালেই পরীক্ষা সম্ভব এটি দিয়ে হার্টবিটও মাপা যায়।  

অক্সিমিটার, ছোট যন্ত্রটি কীভাবে কাজ করে? ক্লিপ দিয়ে বসানো যন্ত্রটির এক অংশ শরীরের রক্তের ভেতর দিয়ে আলো ছড়ায়, যা অপর অংশ আবার গ্রহণ করে। রক্তে ভেতর দিয়ে আলো চলাচলের সময় তার কতটুকু রক্তে শোষিত হয়েছে, সেটির পরিমাপ হিসাব করে নির্ণয় হয় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন সুস্থ মানুষের ৯৬ থেকে ৯৮ শতাংশ অক্সিজেন ওঠানামা স্বাভাবিক। কিন্তু তা ৯০-এর নিচে নামলেই শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।  

মাথা, বুক ব্যথা ও হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে শরীরের অক্সিজেন কমে গেলে। সুস্থ থাকলে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫-এর নীচে গেলেও চিন্তার কারণ নেই। তবে করোনা বা অন্য কোনো রোগ থাকলে ৯৪ থেকে কমলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।  

এই পরীক্ষার জন্য মধ্যমা প্রধান হলেও, তর্জনী বা বুড়ো আঙুলও ব্যবহার হয়। এমনিতে দিনে দু’বার আর করোনা হলে প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টা অন্তর পরীক্ষা করতে পারেন। তবে আঙুল ঠাণ্ডা হলে বা জ্বর হলে অনেক সময়েই ভুল রিডিং আসতে পারে, সে ক্ষেত্রে একটু বিরতি দিয়ে আবার মাপতে হবে। এছাড়া অক্সিমিটারের ব্যাটারি স্লো হয়ে গেলে বা নখে নেইলপলিশ থাকলেও সঠিক রিডিং নাও আসতে পারে।  

ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুস কিংবা হৃদরোগে ভুগলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই এসব রোগীর উচিত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রার দিকে নজর রাখতে অক্সিমিটার সঙ্গে রাখা।

বাজারে এখন অনেক ধরনের অক্সিমিটার পাওয়া যায়। এগুলোর দাম এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২১ 
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।