ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

নারীর পছন্দের পুরুষ হবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২১
নারীর পছন্দের পুরুষ হবেন যেভাবে ছবিটি মাহফুজ শাওন-মরিয়াম মিতুর ফেসবুক থেকে নেওয়া।

নারীর কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পুরুষের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। অনেকেই আবার সাজ-গোজে পরিপাটি থাকতে পা থেকে মাথা পর্যন্ত খুবই সচেতন।

আর পুরুষের এই চেষ্টা-চরিত্রের নীরব সাক্ষী হচ্ছে আয়না! আবার অনেক পুরুষই ভেবে থাকেন সৌন্দর্যচর্চার বিষয়টি শুধু নারীদের জন্য। তাই এ কারণেই নিজেদের সৌন্দর্য সম্পর্কে মোটেও সচেতন নয় তারা।

আবার নারীদের মন পুরুষদের চাইতে অনেক পরিষ্কার থাকে বলে অনেকেই কৌতুক করে বলে থাকেন। তার কারণ নারীরা নাকি তাদের মনটাকে ঘন ঘন বদলায়। আবার অনেকের প্রিয় বিষয় আছে যা একেবারেই বদলায় না। তাই মানুষ মাত্রই ভুল হয়। তবে, সেই ভুল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুধরে নেওয়া উচিত। এমন অনেক কিছুই আছে যা নারীরা পুরুষদের মধ্যে পছন্দ করেন না। আর সেই ভুলগুলোই এবার পাল্টে ফেলে হয়ে উঠুন আপনার নারী সঙ্গী মনের মানুষ বা সত্যিকারের সুপারম্যান।

একজন পুরুষের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দেবে তার চরিত্র কেমন হতে পারে। এই গুণটা নারীরা প্রকৃতিভাবে পেয়েছেন। ভালো ইম্প্রেশন করার জন্য সবার আগে নিজেকে ঠিক রাখতে হবে। পুরুষটি কতটা ভালো মনের মানুষ ও মনযোগী সেদিকেও খেয়াল রাখে নারীরা।  

চমৎকার গন্ধের ডিওডরেন্ট বা পারফিউম নারীরা খুবই পছন্দ করেন। তবে, আপনার দেহের গন্ধ আর পারফিউমের গন্ধের একটা সমন্বয়ের প্রয়োজন। আবার এমন সুগন্ধি নেবেন না যা আপনার দেহের গন্ধের সঙ্গে একাকার হয়ে কটু গন্ধ সৃষ্টি করে। বিশ্বাসে বারে বারে আঘাত করা, অকারণে সন্দেহ করাটা নারীরা মোটেও পছন্দ করেন না। বরং বিশ্বাস করলে অনেকেই সে বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সম্পর্কের যত্ন করে থাকেন।  কথায় কথায় অর্থের প্রসঙ্গে টেনে আনা যেকোনো সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে। আপনার যতই বেশি অর্থ থাকুক বা কম থাকুক, তা যেন কখনই আপনাদের মধ্যে অশান্তির বিষয় না হয়ে ওঠে। এ বিষয়টি নারীরা একদমই পছন্দ করেন না।

অযথা পার্টনারকে অন্যের সামনে খোঁচা মেরে বা অপমানসূচক কথা বলা ঠিক না। তারা চায় যে, মানুষটা সারা জীবনের দায়িত্ব কাঁধে নিতে চলেছে, সে মানুষটা তার সম্মানটা আগলে রাখবেন, কখন তা নষ্ট হতে দেবেন না।

পার্টনারের অনেক কিছুই আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে তা সবার সামনে তুলে ধরে তাকে ছোট করবেন এটা কিন্তু ঠিক একদমই নয়। তাকে ডেকে নিয়ে আড়ালে বলুন তুমি এটা করেছো বা করাটা উচিত হয়নি। এতে আপনার প্রতি তার সম্মান কমবে না বরং বাড়বে।

অনেকেই আছেন একটু চাপা স্বভাবের হয়ে থাকেন। সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু দিনের শেষে মন খুলে একবার ভালোবাসি এটুকু কথা প্রেমিকাকে না বললেই নয়। তার এই শব্দ টুকুতেই শান্তি পেয়ে থাকেন তার পার্টনার।

একটা নারী যেমন বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে আসে স্ত্রী হয়ে, আপনার পরিবার ও স্বজনদের যত্ন নেয়, ঠিক তেমনই তার পরিবারকেও পুরুষসঙ্গীকে সম্মান দিতে হবে।  

সুদর্শন, চতুর ও শরীরের ফিটনেস উপস্থাপন করাকে অনেক নারীই পছন্দ করেন। তাই আজই মেনে পড়ুন ওই গুণের অধিকারী হতে। প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে যৌনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে রসিক ও বন্ধুভাবাপন্ন পুরুষরাই এগিয়ে থাকেন নারীদের পছন্দের তালিকায়। কখনও নারী পছন্দ করে না বিয়ে আগে তাদের অমতে শারীরিক সম্পর্ক হোক। কেউ তার প্রেমিক বা প্রেমিকা বলে যখন ইচ্ছে একতরফা তার প্রতি অধিকার ফলানো যায়, এটা ভুল।

অনেক নারীই নিজের পরিবার থেকেই প্রথমতো পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকতে হয়। বিয়ে পর প্রতিটি পুরুষের উচিত তার নারীসঙ্গীকে ছাড় বা স্বাধীনতা দেওয়া।

মুখে হাসি, রসবোধ থাকাটা যে কারও জন্যই উঁচুমানের গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কাঙ্ক্ষিত পুরুষের চরিত্রে নারীরা এটাই খোঁজে থাকেন। তাই নিজে হাসুন, তার মুখেও হাসি ফোটান।

রুচিহীন পোশাকের পুরুষদের কোনো কিছুই মেয়েদের আকর্ষণ করে না। সাধারণত চলতি ফ্যাশন নারীদের কাছে প্রিয়। তাই একটু ফ্যাশনেবল থাকুন।

হাতখোলা পুরুষদেরই নারীরা বেশি পছন্দ করে। তার সঙ্গে ম্যানার্স, ব্যবহার সবকিছু খতিয়ে দেখে তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।