জামদানি আমাদের পোশাক শিল্পের ঐতিহ্য। জামদানি বলতে মূলত শাড়িকেই বোঝানো হয়।
'দ্যা হ্যাঙ্গার সিউ ইন স্টাইল ডটকম’-এর কর্ণধার মারজিয়া জলিল। পেশায় একজন আইনজীবী হলেও দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে গড়ে তুলেছেন ঢাকাই জামদানি শাড়ি নিয়ে ই-কমার্স সাইট। ফেসবুকে যেটি দ্যা হ্যাঙ্গার সিউ ইন স্টাইল (The Hanger Sew in Style) নামে পরিচিত। মারজিয়া যেহেতু নারায়ণগঞ্জের মেয়ে তাই তার সবগুলো শাড়িই সেখানকার সুদক্ষ তাঁতীদের দিয়ে আদি ও আধুনিকতার মিশেলে মূল্যবান রেশম সূতা দিয়ে বুনন করে ক্রেতাদের হাতে পৌঁছান।
নিজের উদ্যোগ সম্পর্কে মারজিয়া জানান, দেশীয় ঐতিহ্য জামদানির প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি ই-কমার্স সাইটটি (দ্যা হ্যাঙ্গার সিউ ইন স্টাইল) চালু করেছেন। তার ভাষায়, দেশের পাশাপাশি রেশমি জামদানিকে বহিঃবিশ্বে তুলে ধরতে শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। পেজটিতে ওজনে কম সকল ধরণের এক্সক্লুসিভ জামদানি শাড়ি পাওয়া যায়।
এছাড়াও মসলিনের প্রথম ধাপের সূতা দিয়ে বুনন করা ফুল সিল্ক জামদানি শাড়ি, ৬০/৮০/৮৪ কাউন্টের রেশমি জামদানি, হাফ-সিল্ক, কটন এবং ফুলসিল্ক ঢাকাই রেশমি জামদানি পাওয়া যায়। একই কালেকশনের টু-পিচ এবং পাঞ্জাবিও পাওয়া যায়।
শাড়ি সম্পর্কে দ্যা হ্যাঙ্গার সিউ ইন স্টাইলের কর্ণধার মারজিয়া জলিল জানান, জামদানি মূলত আভিজাত্যপূর্ণ একটি পোশাক। তাঁতীদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা, রুচিবোধ ও কল্পনার মিশেলে একটি শাড়ি তৈরি করতে ১৫ দিন থেকে আট মাস সময় লাগে। বর্তমানে হাতে বোনা শাড়ির পাশাপাশি কলে বোনা জামদানিও পাওয়া যায়। আমি মূলত তাঁতি যত্নে বোনা জামদানি তুলে দিচ্ছি ফ্যাশন সচেতন নারীদের হাতে। এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের রিভিউ খুব ভালো। আপাততো অনলাইনের মাধ্যমেই ক্রেতাদের হাতে নারীর অতি আদরের ভূষণ রেশমি শাড়ি তুলে দিচ্ছি। তবে খুব শীঘ্রই বনশ্রীতে আমাদের নতুন আউটলেট চালু হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
জেডএ