অনেকের রাতে পায়ে টান লেগে যন্ত্রণার চোটে ঘুম ভেঙে যায়। খুবই অস্বস্তিকর এই যন্ত্রণা কয়েক সেকেন্ড ধরে চলতে পারে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে পায়ে টান লাগার প্রবণতা বেশি। পায়ে টান লাগার অনেক কারণ হতে পারে। সাধারণত এই নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। পায়ে টান লাগলে এমনিতে সেই ব্যথা কমানোর কোনও ওষুধ বা ইঞ্জেকশন হয় না। বরফ লাগিয়ে, কিংবা উষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রেখে আরাম পেতে পারেন। হালকা মাসাজ করেও পায়ের তালু পেশির যন্ত্রণা কমতে পারে। তবে, পেশিতে টান লাগার ঘটনা এড়ানোর কিছু উপায় রয়েছে।
দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। মদপান এবং ক্যাফিন কম করুন। ঘুমোনোর সময়ে সতর্ক হন। পায়ের নিচে বালিশ রেখে পা উঁচুতে তুলে রাখতে পারেন। ঘুমোনোর আগে পায়ের পেশি সামান্য স্ট্রেচ করে নিন। শরীরচর্চার সময়ে পায়ের পেশির দিকে মন দিন।
সাধারণত শরীরে পানির অভাবে পেশিতে টান লাগে। শরীরে কিছু জরুরি পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিনের অভাব হলেও টানের প্রবণতা বেড়ে যায়। টান লাগার যন্ত্রণা বেশ কিছু ক্ষণ থাকলেও বেশির ভাগ সময়ই কয়েক মিনিটের মধ্যে নিজে থেকেই মিলিয়ে যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ঘন ঘন পায়ে টান লাগা বড় কোনও অসুখের উপসর্গও হতে পারে।
রক্ত জমাট বাঁধা হৃদরোগের আশঙ্কা। লিভার সিরোসিস। ডায়াবিটিস। কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া। পার্কিনসনন্স ডিজিজ। ক্যানসার চিকিৎসায় কেমো থেরাপি নিলেও স্নায়ু বিকল হয়ে পায়ে টান ধরতে পারে। তাই পায়ে টান লেগে যদি অতিরিক্ত ব্যথা হয় বা চামড়ার রং বদলে যায়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
এএটি