ক্লান্ত শরীরে রাত জেগে স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটি করা যেকোনো বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘুম না আসার পেছনে অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু শরীর নয়, প্রতিদিনের জীবনযাত্রার ওপরেও প্রভাব পড়ে এই অভ্যাসের কারণে। এমনকি অনেক সময় বদলে যেতে পারে পুরনো অভ্যাসও!
দক্ষিণ ক্যারেলিনার ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুন পিচার জানান, চট করে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, প্রিয়জনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা, ছোটখাটো সমস্যাতেই প্রতিক্রিয়া দেখানো, এগুলো রাতে ঘুম না হওয়ার ফলেই হয়। এর ফলে আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাসও কমে যেতে পারে। প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরেও।
চোখের তলায় ডার্ক সার্কেল, ফোলা ভাব এর কারণেই হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি যৌন উত্তেজনাও কমে আসে এর ফলে।
গবেষণা বলছে, অনিদ্রার কারণে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে আসে। ফলে দাম্পত্য কলহও বাঁধতে পারে এর ফলে। খিটখিটে মেজাজের ফলে বহুদিনের সম্পর্ক ভেঙেও যেতে পারে।
আরও যেসব ক্ষতি হতে পারে
১. প্রতি রাতে মানুষের ৭-৮ ঘণ্টার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। স্মার্টফোনের নীল আলো শরীরে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
২. রাতে ঘুমানোর আগে যারা স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাদের ঘুম কমে যেতে পারে। এতে মস্তিষ্ক ও মনের ক্ষতি হতে পারে।
৩. রাতে ঘরের আলো নেভানোর পর স্মার্টফোনের নীল আলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হয়ে পড়েন অনেকে। এতে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর নীল আলো সরাসরি চোখে আঘাত করে। ফলে চোখের কোষের ক্ষতি হয় ও চোখে ব্যথা অনুভব হয়।
৪. আমেরিকান ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের নীল আলো রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৫. রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে ঘুম থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ঘুমের অভাবে চিন্তা শক্তি ও শারীরিক শক্তিও কমে যেতে পারে।
৬. ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়ায়, যা কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
জেএইচটি