ঢাকা: মানুষের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য দরকার গাছপালা, পর্যাপ্ত আলো বাতাস, নদী-নালা, খেলার মাঠ ও ঘোরার জন্য পার্ক। কিন্তু শহুরে জীবনে এসব না থাকলেও রয়েছে কাড়িকাড়ি মানুষ, হাজার হাজার গাড়ি আর বড় বড় দালান।
এই শহর কেন্দ্রিক জীবনধারায় শিশুদের আনন্দ দিতে ও ড্রইং রুমের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে অ্যাকুরিয়ামের তুলনা নেই। ঘরের কোনে অ্যাকুরিয়াম হচ্ছে জীবন্ত এক সমুদ্র বিলাস। খুব কাছ থেকেই যেন সমুদ্রের তলদেশ আর বাহারি মাছ দেখা। বাহারি রং এর জীবন্ত মাছগুলো যখন সাঁতার কাটে তখন আনন্দে মন ভরে যায়।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সৌখিন মানুষের কাছে অ্যাকুরিয়ামের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উচ্চবিত্তের ঘরে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে এখন যোগ হচ্ছে অ্যাকুরিয়াম। শুধু ঘরেই নয়, অ্যাকুরিয়াম ব্যবহার হচ্ছে বড় বড় করপোরেট অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও।
অ্যাকুরিয়াম কিংবা কাঁচের গোল বোতলে রাখা নীল আলোয় পানিতে ভেসে বেড়ানো সিলভার শার্ক, এলবিনো শার্ক, টাইগার শার্ক, রেইনবো শার্ক, টাইগার বার্ব, রোজি বার্ব, গোল্ড ফিস, অ্যাঞ্জেল ফিস, ক্যাট ফিশ, সাকিং ক্যাট, কমেট, মলি, ফলি, গপ্পি, ব্লু-গোরামি, সিলভার ডলার, অস্কার, ব্লু-আকারা, টেলিচো, কৈ-কার্প, টাইগার কৈ-কার্প, ব্ল্যাক মুর, সোটটেল, প্লাটি, এরোনা, ফ্লাওয়ার হর্ন, হাইফিন নোজ, ব্ল্যাক গোস্ট, সিসকাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দেখতে সুন্দর মাছগুলোর দাম প্রতি জোড়া ১০০ টাকা থেকে ১৫০০ পর্যন্ত। তবে কিছু প্রজাতির মাছ ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা জোড়া ও রয়েছে।
রাজধানীর কাঁটাবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট অ্যাকুরিয়ামের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এছাড়া নিউমার্কেট, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অ্যাকুরিয়াম-সামগ্রীর দোকান রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমাহার দেখা যায় কাঁটাবনে।
এখানে বিভিন্ন আকার ও ডিজাইনের অ্যাকুরিয়াম পাওয়া যায়। আকৃতি ও মানভেদে এসবের দামে ভিন্নতা রয়েছে। এক্ষেত্রে এক ফুট থেকে সাড়ে ৩ ফুট অ্যাকুরিয়ামের দাম পড়বে ২০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। এরচেয়ে বড় আকারে কিনতে চাইলে আগে থেকেই অর্ডার দিতে হয়।
উত্তরা থেকে অ্যাকুরিয়াম ও মাছ কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম অনিক বাংলানিউজকে বলেন, আমার এক ছেলে, এক মেয়ে। তারা সারাক্ষণ ঘরে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। এই মোবাইলের আসক্তি কাটাতেই অ্যাকুরিয়াম কেনা। কিছুটা সময়তো এগুলো নিয়ে খেলা করবে!
কাটাবনের ‘ফিশ ওয়াল্ড’ দোকানের মালিক সুমন হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসা অনেকটাই ভালো। তবে মহামারি লকডাউনের সময় দোকান খুলতে না পারায় এখানকার সবার দোকানেই খাবারের অভাবে লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। সেটাই এখন পুষিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
এনটি