ঘুম ভাঙার পরেও বিছানা ছাড়তে চায় না। একটা কোলবালিশ নিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিচ্ছে।
ছুটির দিনে হাজার আবদার করলেও বাড়ি থেকে বেরোতে চায় না। আবার শপিং! নাম শুনলেই গায়ে যেন জ্বর আসে, বয়ফ্রেন্ড বা বরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অনেক মেয়ের।
আপনার হয়তো হাসি পাচ্ছে। কিন্তু জানেন কি, পুরুষদের আলসেমির কারণে অনেক যুগলের ব্রেকআপ বা ডিভোর্স হয়ে গেছে।
কেন অলস, জানতে চেষ্টা করুন। হতে পারে আপনার প্রিয়জনটি অবসাদের শিকার। বা হয়তো তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মধুমেহ রোগ! এসবের কারণেও কাজে অনীহা আসতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা করানোটা জরুরি।
কঠোর হতে শিখুন
যদি দেখেন, কুঁড়েমিটা তার স্বভাব, তাহলে শক্ত হোন। সারাদিন ঘ্যান ঘ্যান করলে পুরুষরা পাত্তা দেয় না বরং ঠাণ্ডা মাথায় বসে আলোচনা করুন। বুঝিয়ে দিন কি চাইছেন, কেন চাইছেন। সতর্ক করুন। তবে, তার মিষ্টি ব্যবহারে ভুলবেন না। কাজটা কিন্তু আপনাকেই হাসিল করতে হবে।
প্রশংসা করুন
আপনি শক্ত হলে তিনিও সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে। তখনও অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করাবেন না বরং প্রশংসা করুন। মিলেমিশে কাজটা করুন। এতে কাছের মানুষটাও অনুপ্রেরণা পাবে।
না পাল্টালে ভুগতে দিন
আপনার কাজে এগিয়ে না এলে, আপনিও দুই কদম পিছিয়ে যান। তার ফোনের বিল দেওয়ার কথা এ মাসে আর মনে করাবেন না। বাড়ির বিদ্যুতের বিলও বাকি পড়ে পড়ুক। চুপচাপ থাকুন। ফল ভুগতে দিন।
বাড়াবাড়ি করলে সম্পর্ক ভাঙুন
শুধু বাড়ির কাজকর্ম নয়, যদি দেখেন অফিসের কাজকর্মেও তার অনীহা, উন্নতির কোনও চেষ্টা নেই, তাহলে কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। ভাবতে হবে, বাকি জীবন এই সম্পর্কটা বয়ে বেড়াবেন কিনা! সারা জীবন ঝগড়াঝাটির থেকে একবারের দুঃখ অনেক শ্রেয়। আর এটা মনে রাখা জরুরি, পরিণত বয়সের একজনকে পাল্টানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এএটি