বাঙ্গালীর কাছে শীতকাল মানেই যেমন কমলালেবু, সবুজ সবজি, বিট-গাজরের সমাহার, তেমনই শীতকাল মানেই কিন্তু নলেন গুড়। মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির ঘরে ঘরে এ সময় নলেন গুড় পাওয়া যায়।
কিন্তু এসব ছাড়াও গুড়ের একাধিক রেসিপি হয়। তার মধ্যেই বিখ্যাত কয়েকটি বাঙালির অতি প্রিয়।
আসুন জেনে নেই খাবারগুলো সম্পর্কে-
নলেন গুড়ের রসগোল্লা: রসে টইটম্বুর, লালচে গোলাকার মিষ্টি মানেই শীতকালে বাঙালির কাছে নলেন গুড়ের রসগোল্লা। সাদা রসগোল্লার থেকে এ সময়ে গুড়ের রসগোল্লাই বেশিরভাগ মানুষের প্রিয়। এ ক্ষেত্রে রসগোল্লার রসে চিনির বদলে অল্প গুড় মেশানো হয়, রসগোল্লার মন্ডতেও গুড় মেশানো হয়ে থাকে। তাই মুখে দিলেই গলে যাওয়া আর সঙ্গে গুড়ের গন্ধ, যেকোনো মিষ্টিপ্রিয় মানুষ একসঙ্গে পাঁচ-ছয়টা খেয়ে নিতে পারে। আর যদি রসগোল্লা হয় গরম তা হলে তো কথাই নেই!
নলেন গুড়ের সন্দেশ: শীতে নলেন গুড় হল বাঙালির মাস্ট হ্যাভ। রসগোল্লা খেতে পছন্দ না করলেও অপশন রেডি। রয়েছে নলেন গুড়ের সন্দেশ। লালচে রঙের বিভিন্ন ছাঁচে তৈরি এই সন্দেশও কিন্তু হৃদয় হরণ করতে পারে যে কারও। সাধারণত, ছানা, দুধ, আর চিনি দিয়ে তৈরি হয় সন্দেশ। এ ক্ষেত্রে চিনির পরিবর্তে নলেন গুড় ব্যবহার করা হয়। সন্দেশের ওপরে অনেক সময় বিভিন্ন বাদামও ব্যবহার করা হয়। কড়া পাকের সন্দেশ, নরম পাকের সন্দেশ- উভয়ই পাওয়া যায়।
নলেন গুড়ের কাঁচাগোল্লা: সন্দেশ যে উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়, কাঁচাগোল্লাও সাধারণত সেই উপকরণ দিয়েই তৈরি হয়। কিন্তু পাক কম হয় এবং খুবই নরম হয়। প্রাণহরা বা কাঁচাগোল্লা এ সময়ে চিনির পরিবর্তে খেজুর গুড়ের রস দিয়ে তৈরি হয়।
নলেন গুড়ের পায়েস: শীতে পায়েস মানেই বেশিরভাগ বাড়িতে নলেন গুড়ের পায়েস তৈরি করা হয়। গোবিন্দভোগ চালের গন্ধ সঙ্গে গুড়ের গন্ধ একদম স্পেশাল একটা আমেজ তৈরি করে।
নলেন গুড়ের পাটিসাপটা: ইংরেজিতে বোঝাতে গেলে প্যানকেক রোল বলা যেতে পারে। কিন্তু বাঙালিদের কাছে জনপ্রিয় পাটিসাপটা নামেই! মাঝে ক্ষীর বা নারকেলের পুর আর বাইরে হালকা একটা লেয়ার এই খাবারের টেক্সচারই বদলে দেয়। অনেকেই পাটি সাপটার ব্যাটারে গুড়ের ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার নারকেলের পুর গুড় দিয়ে করে থাকেন। সাধারণত, পৌষ সংক্রান্তিতে এ খাবার সকলের ঘরে ঘরে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
জেডএ