দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। ধীরে ধীরে কমে আসছে তাপমাত্রা।
আপেল
প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে দূরে রাখে। আপেলের মধ্যে কুয়েরসেটিন নামক এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং আমাদের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কুল
ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ কুল হজমের জন্য খুবই ভালো। কুলে আছে ভিটামিন ‘সি’, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান।
কমলালেবু
বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কমলালেবু সর্দি-কাশি সারায়। হজম শক্তি বাড়ায়। কমলালেবুতে আছে ভিটামিন সি ও ক্যালশিয়াম।
জলপাই
জলপাইতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’ ও ‘সি’। বাতের ব্যথা, হাঁপানি উপশমে জলপাই দারুণ কার্যকরী।
আমলকি
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি দাঁত, চুল, ত্বকের জন্য ভাল। রক্তাল্পতা দূর করতেও আমলকি উপকারী।
পেয়ারা
ভিটামিন এ ও বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ পেয়ারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চোখের জন্যেও উপকারী পেয়ারা।
আনারস
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত।
বিলিম্বি
কম পরিচিত ফল বিলিম্বি। ছোট কিন্তু লম্বাটে আকারের। দেখতে খুবই সুন্দর। সর্দি কাশি নিরাময়ে বিলিম্বি ফুল ভালো কাজ দেয়। গরম পানির সঙ্গে এটিকে জ্বাল দিতে হবে। এই পানি নিয়মিত সেবন করলে সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যায়। বিলিম্বি গাছের ফল প্রতিনিয়ত খেলে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আঙুর
আঙুরে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম থাকে। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
তেঁতুল
তেঁতুল শরীরে অ্যালার্জি হতে বাঁধা দেয়। এতে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
আমড়া
আমড়াতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। আর এ উপাদানগুলো আপনার শরীরের সিস্টেমের কারণে সহায়তা করে স্ট্রেসের প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
এএটি