ঢাকা: ওবেসিটি খুবই সাধারণ একটি শারীরিক অসুস্থতা, যা বহু মানুষের মধ্যে দেখা দেয়। শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় অত্যধিক মাত্রায় মেদ জমলে তাকে ওবেসিটি বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিগত কয়েক দশক ধরে ওবেসিটির সমস্যা মারাত্মক হারে বেড়েছে মানুষের মধ্যে। এমনকি আমেরিকার মতো দেশে এটিকে মহামারি হিসেবেও ধরা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেবলমাত্র বয়স্কদের মধ্যেই নয়, ওবেসিটির সমস্যা দেখা দেয় শিশুদের মধ্যেও। যা সঠির সময়ে চিকিৎসা না করালে ওবেসিটির থেকে অন্যান্য অনেক অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কীভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব ওবেসিটিকে?
বিশেষজ্ঞরা ওবেসিটি প্রতিরোধের বেশ কিচু পদ্ধতি জানাচ্ছেন। তারা জানাচ্ছেন, শিশুকে যতদিন সম্ভব ততদিন স্তন্যপান করানো দরকার। বহু সমীক্ষায় দেখা গেছে, ছোট বয়সে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়ার সঙ্গে স্তন্যপানের বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসের ওপর অনেকটা নির্ভর করে ওবেসিটির সমস্যা। নিয়মিত খাবারের তালিকায় ফল, সবজি, প্রোটিনজাতীয় খাবার রাখা দরকার।
বয়স যাই হোক না কেন, ওবেসিটি প্রতিরোধ করতে গেলে সবার আগে জাঙ্ক ফুড পরিহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ছোট বয়স থেকে যদি এগুলো ত্যাগ করা যায়, তাহলে পরবর্তীকালে ওবেসিটির সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
খাবার তখনই খাওয়া দরকার যখন খিদে পাচ্ছে। এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, যে সময়ে আমাদের খিদে পায়, সেই সময়ে শরীরে এক ধরনের হরমোন দেখা দেয়, যা খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে।
চিপস, প্যাকেটজাত খাবার, চটজলদি তৈরি হয়ে যাওয়া খাবার ত্যাগ করা প্রয়োজন ওবেসিটি প্রতিরোধ করতে হলে।
নিয়মিত শরীরচর্চায় জোর দেওয়া দরকার। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে তা শরীরকেও সুস্থ রাখে আর শরীরে অতিরিক্ত মেদও জমতে দেয় না।
চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার এখনই বর্জন করা প্রয়োজন এবং প্রচুর পরিমাণে সারাদিনে পানি পান দরকার দরকার।
এছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি ও ডায়েট করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ/ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন এবং তাদের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী মেনে চলবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
এএটি