ঢাকা: সুগন্ধযুক্ত কতবেল নারী-পুরুষ ও শিশুদের কাছে বেশ প্রিয় ফল। শক্ত খোলসযুক্ত ফলের ভেতরে ধূসর রঙের আঠালো শাঁস ও ছোট সাদা দানা থাকে।
পেট ভালো রাখে
কতবেলে আছে ট্যানিন নামক উপাদান। যা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কাঁচা কতবেল ছোট এলাচ, মধু মিছিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়। এছাড়া লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারী। এক কথায় কতবেল পাইলসের প্রতিষেধক।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
কতবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বুক ধড়ফড় ও রক্তের নিম্নচাপ রোধেও সহায়ক। মিছরির সঙ্গে কতবেল মিশিয়ে খেলে দেহে শক্তি বাড়ে ও রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
কতবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়।
গরম কম লাগে
কতবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। তাই এ ফলটি খেলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কতবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
কিডনির জন্য ভালো
কতবেল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যায় কিডনি সমস্যা দূর করার জন্য সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো কতবেল। এটি যকৃত ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও বিশেষ উপকারী।
পেপটিক আলসার ভালো হয়
কতবেল পাতার রস পানির সঙ্গে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়। আলসারের ক্ষত সারাতে তাজা কতবেল বেশ কার্যকরী।
রূপচর্চায়
ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কতবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এএটি