ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

খাবার খেয়েই জনপ্রিয় ফুড আপ্পি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
খাবার খেয়েই জনপ্রিয় ফুড আপ্পি ফাবিয়া হাসান মনিষা

নাম ফাবিয়া হাসান মনিষা হলেও ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে ‘ফুড আপ্পি’ নামেই বেশি জনপ্রিয় তিনি। দৃষ্টিনন্দন সব রেস্টুরেন্টের মুখরোচক খাবার এবং দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন মনিষা।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি ভার্চু্্যয়াল মাধ্যমে পূর্ণ হয়েছে তিন লাখ ফলোয়ার। রাজধানী ঢাকার ঝিগাতলার একটি সাধারণ মেয়ে থেকে ফুডাপ্পি হয়ে ওঠার গল্প জানিয়েছেন বাংলানিউজকে।  

ফুড ভ্লগিং এবং ট্রাভোলগ শুরুর করার পেছনে মূল কৃতিত্ব আমার স্বামী মাহদী হাসান মান্নার। সে চাইতো আমি চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে বা প্রযুক্তি নির্ভর কিছু করি। আমি নিজেকে ভোজনরসিক মনে করি। আমি যখন কোনো একটা ফুড আইটেম এর স্বাদ নেই, তখন অন্য জগতে হারিয়ে যাই। সেই থেকেই শুরু। আমার আজকের এই অবস্থানে আসার শুরুর সময় থেকে মাহাদী আমাকে খুব সাপোর্ট দিয়ে আসছে। ক্যামেরার সামনে হয়তো আমাকেই দেখা যায়, কিন্তু পেছন থেকে সেগুলো শ্যুট করা, এডিটিং করা, এসবকিছুই মাহাদী করে। গেল ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা এধরনের কনটেন্ট তৈরি করা শুরু করি।  

ফুড ভ্লগিং বা ট্রাভোলগ অথবা অন্য কোনো বিষয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে বর্তমান সময়ে, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম এবং ইউটিউব এধরনের কনটেন্ট নির্মাতাদের প্রচুর কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য তারা বিশেষ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। যদি আমার কথাই বলি, শুধু ফেসবুক থেকেই মাসে প্রায় ১ লাখ টাকার কাছাকাছি আয় হয়। তবে শুরুতে এটা অন্য কোনো পেশার পাশাপাশি করাই ভালো। কেউ যদি চাকরিজীবী হন, তার পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।  

আমার প্রায় ২০-২৫টা ভিডিও আছে যেগুলো মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে। আর যখন কোনো ভিডিও এর ভিউ বাড়ে, তখন বুঝতে পারি যে, দর্শক আমার সেই কনটেন্টটি পছন্দ করেছে। বিষয়টি অনুপ্রেরণা দেয়।  

পথচলাটা আসলেই অনেক কঠিন ছিল তবে আমার অতীত জীবনে প্রায় সাড়ে সাত বছর যে পরিমাণ কষ্ট দুঃখ সহ্য করে সংগ্রাম করতে হয়েছে, সেটার কাছে কোনো কিছুই কষ্ট না। আর এখন যে বাধা বা সমস্যাই আসুক, সেগুলোকে হালকাভাবে নিতে পারি। কারণ আমি বিশ্বাস করি যে, আমি ততক্ষণই সঠিক আছি, যতক্ষণ আমি সততার সঙ্গে আছি। ভিডিও করার সময় আশেপাশে অনেকেই বাজে মন্তব্য করেন। কোনো ভিডিও প্রকাশিত হলে মন্তব্যের ঘরে কেউ কেউ বাজে কথা বলে।  

আমি মানবসম্পদ ও উদ্যোক্তা বিষয় নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছি। আগামীতে এমবিএ করার ইচ্ছা আছে। এরপরেও আমার আরও পড়াশুনার ইচ্ছা আছে। কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি ডেকো ইশো গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগে কর্মরত আছি।  

খাবারের আইটেম বা রান্না করার প্রক্রিয়া অথবা অতিথিদের কাছে সেই খাবার পরিবেশনের উপায়, এসব বিষয়কে সামনে রেখে আমি কোনো রেস্টুরেন্ট, খাবার বা স্থান নির্বাচন করি। এছাড়াও কোন রেস্টুরেন্টের পরিবেশ কেমন, সেখানে ভিন্ন কিছু আছে কি-না, এসব বিষয়ও বিবেচনায় থাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১ 
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।