শরীর সুস্থ রাখতে এবং সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক কার্যকারিতায় রক্তের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রক্ত পরিশোধন করতে পারে।
হলুদ
হলুদ ব্যবহার হয় প্রতিদিনের রান্নায়। এটি কিন্তু রক্ত পরিষ্কার করতে দারুণ কার্যকরী। হলুদে থাকা কারকিউমিন রক্তকে দূষণমুক্ত করে। কারকিউমিন হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আমাদের শরীরে ডিটক্সিফাইং এনজাইম তৈরি করে সেইসঙ্গে রক্তও পরিষ্কার করে।
লেবু
রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে কাজ করে লেবুর রস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাজা লেবুর রস থেকে বেশি এনজাইম তৈরি করতে পারে আমাদের লিভার। এতে বৃদ্ধি পায় লিভারের কার্যকারিতা। সেইসঙ্গে লেবু হলো ভিটামিন সি এর অন্যতম প্রধান উৎস, এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। লিভার ডিটক্সিং প্রোটিন উত্পাদনে সাহায্য করে ভিটামিন সি।
রসুন
কাঁচা রসুন রক্ত পরিষ্কার করতে দারুণভাবে কাজ করে। রসুনে আছে অ্যালিসিন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লিভারকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে রক্ষা করে রক্তকে বিশুদ্ধ করে এই রসুন। উপকারী এই ভেষজের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রক্ত পরিষ্কার করার পাশাপাশি অন্ত্রকে ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী ও ভাইরাসমুক্ত রাখতে সমানভাবে কাজ করে।
ব্রকোলি
সবুজ রঙের এই সবজি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখা জরুরি। কারণ এতে থাকে ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এটি রক্ত থেকে দূষিত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। ব্রকোলি খেতে পারেন সবজি হিসেবে, সালাদে কিংবা পাস্তায়।
বিট
রক্ত পরিষ্কার এবং লিভারকে সুস্থ রাখতে কাজ করে বিট। জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে লিভারকে সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে বিটে। এটি শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে, লিভার পরিষ্কার করে এবং সেইসঙ্গে কমায় প্রদাহ।
আখের গুড়
উপকারী একটি খাবার হলো আখের গুড়। তবে তা অবশ্যই ভেজালমুক্ত হতে হবে। গুড় ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে রক্ত পরিষ্কার রাখা সহজ হয়। কারণ গুড় রক্ত পরিশোধক হিসেবে বেশ কার্যকরী। এটি রক্তের জমাট বাঁধার সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এনএইচআর