তুমি যাবে ভাই - যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়...
কতদিন ব্যস্ততায় গ্রামে যাওয়া হয় না, বসা হয় না বাড়ির পাশের ছোট নদী তীরে। যারা সময়ের অভাবে বাড়ির ফেরার সময় পান না।
মধুমাসের এই গরমে শীতল হতে আর মন রাঙাতে বিশেষ অফার দিচ্ছে ধলেশ্বরী নদী তীরে গড়ে ওঠা ধলেশ্বরী ক্যাম্পিং অ্যান্ড কায়েকিং।
সকালে গিয়ে সন্ধ্যায় ফিরতে চাইলে ডে ট্যুর করতে পারেন, খরচ পড়বে জনপ্রতি ১৮০০ টাকা।
নাইট স্টে প্যাকেজও রয়েছে এখানে। খরচ কিন্তু একই পড়বে। বিকেলে গিয়ে সারারাত থাকা যাবে। গ্রামীণ পরিবেশে তৈরি ছোট রির্সোটটিতে মিলবে গ্রামের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য। খোলা মাঠ, ছোট নদী, কৃষকের ধান কেটে বাড়ি ফেরা। সন্ধ্যায় মুড়ি-চা বা দেশি পিঠার স্বাদে আড্ডায় মেতে ওঠা।
এখানে সকালের নাস্তায় থাকে পান্তাভাত, শুঁটকি ভর্তা, ডিম ভাজি, আলু ভর্তা, মরিচ ভর্তা, আচার।
দিনের যেকোনো সময় চাইলেই পাবেন নিমকি, বাখরখানি, দেশি ফল(তরমুজ/ পাকা পেঁপে/ কাঁচা আম ), চা। দুপুরের খাবারে সাদা ভাত, স্পেশাল ভর্তা, আচার, সবজি, দেশি মুরগি, ডাল আর শেষ পাতে মিষ্টি। রাতের খাবারেও রাখা হয়েছে ভাত-ডাল-মাছ-মাংস-সবজি-মিষ্টি।
আসবেন কীভাবে?
গাড়ি নিয়ে সরাসরি যেতে পারেন। তবে ভেঙে যেতে চাইলে কয়েকটি পথ রয়েছে-১ম পথ হলো মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটু সামনে এগিয়ে মোহাম্মদ বেড়িবাঁধ ৩ রাস্তার মোড়। সেখান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় বসিলা ব্রিজ হয়ে কলাতিয়া, সেখান থেকে ব্যাটারি রিকশায় ঢালিকান্দি গুদারাঘাট। এর পাশেই রিসোর্ট।
এছাড়া বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে এপার এসে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় রামের কান্দা সেখান থেকে কলাতিয়া। কলাতিয়া থেকে ঢালিকান্দি।
এখানে থাকার ঘর, খাবার ঘর, লাইব্রেরি, সবই গ্রামের মাঝে বাঁশের তৈরি। তারকামানের আধুনিক অনেক সুবিধাই এখানে নেই। তবে শান্তি আছে...সেই ছোটবেলায় ফিরে যাওয়ার অনুভুতি রয়েছে...রয়েছে আপনজনের মতোই আতিথেয়তা।
হাজারো ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে একটা দিন কাটিয়ে এলেই ফিল হবে- হাউ বিউটিফুল...
যোগাযোগ: 01782678454
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২২
এসআইএস