ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

কীভাবে সেরা স্মার্ট টিভি বাছাই করবেন?

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২২
কীভাবে সেরা স্মার্ট টিভি বাছাই করবেন? স্মার্ট টিভি

ঢাকা: বর্তমান সময়ে যেসব টিভি পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে প্রায় সবগুলোই স্মার্ট টিভি। স্মার্ট টিভিগুলো তার উন্নতমানের ফিচারের অনেকটাই কম্পিউটারকে রিপ্লেস করে দিচ্ছে।

 

ভালো পিকচার কোয়ালিটি, ওয়াইড ভিউ, এইচডিএমআই কেবল সাপোর্ট ও ওয়াইফাই সংযোগ সুবিধা থাকায় অফিসসহ যেকোনো জায়গায় আজকাল স্মার্ট টিভি ব্যবহার করা হয়। স্মার্ট টিভিতে এখন ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ফেসবুক, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ছাড়াও আরও অনেক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায় যা বিনোদনের অনেক বড় একটি উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্মার্ট টিভি বাছাই করার ক্ষেত্রে দাম, সাইজ, রেজোলিউশন, এইচডিআর, ওয়াইফাই সিস্টেমসহ অন্যান্য কিছু ফিচার মাথায় রাখতে হবে। বাজেট যেমনই হোক না কেন বাজারে বিভিন্ন প্রাইজ রেঞ্জের স্মার্ট টিভি রয়েছে। টিভির সাইজ এবং ফিচার অনুযায়ী দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। House of Butterfly থেকে এসব ফিচার ও সুবিধাযুক্ত স্মার্ট টিভি বেছে নিতে পারবেন বেস্ট প্রাইজে।

টিভি নির্ধারণের ক্ষেত্রে রুমের সাইজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেসঙ্গে টিভিটি কোনো পারপাসে কোনো রুমের জন্য কেনা হচ্ছে সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত মানুষ ড্রয়িং রুমের জন্য ওয়াইড ভিউইং অ্যাঙ্গেলসহ অপেক্ষাকৃত বড় সাইজের টিভি পছন্দ করে।

বেড রুমের ক্ষেত্রে রুমের সাইজের ওপর টিভির সাইজ ছোট-বড় হতে পারে। সচরাচর ২৪, ৩২, ৪২, ৪৩, ৪৮, ৫০, ৫২, ৫৫, ৬৫, ৭৫ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি হয়ে থাকে। ৫৫ ইঞ্চির ওপরের টিভিগুলোর দাম সাধারণত একটু বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও স্পেশাল কিছু ফিচারসহ ৮০ এবং ৮৫ ইঞ্চি স্মার্ট টিভিও রয়েছে। স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হচ্ছে রেজোলিউশন। স্মার্ট টিভিগুলো সাধারণত1080p, 4K, 8K  হয়ে থাকে। এর মধ্যে 4K টিভি সব ধরনের কাজ এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী।

সেরা স্মার্ট টিভিগুলোতে এইচডিআর (হাই ডাইনামিক রেঞ্জ) নামে একটি উন্নত প্রযুক্তি থাকে। এইচডিআর একটি ছবির সবচেয়ে অন্ধকার এবং হালকা অংশে কালার ডিটেইল উন্নত করে। বর্তমানের স্মার্ট টিভিগুলোতে এইচডিআর ১০, এইচডিআর ১০ প্লাস, ডলবি ভিশনের মতো এইচডিআর ফিচার থাকে।

স্মার্ট টিভিতে ডিসপ্লে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশিরভাগ স্মার্ট টিভি 60Hz, 120Hz রিফ্রেশ রেট অফার করে। এই পরিমাপটি প্রতি সেকেন্ডে কতবার ইমেজ রিসেট হয় তা বোঝায়। এটি যতবার রিফ্রেশ হবে, ছবি ততই ক্লিয়ার থাকবে এবং মোশন ব্লার তত কম অনুভব করবেন।  

একটি স্মার্ট টিভির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচারের মধ্যে একটি হলো ভয়েস কমান্ড। এটি আপনার বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসগুলোর সঙ্গে কানেক্ট করার এবং ভয়েস এর মাধ্যমে কমান্ড নিতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, স্যামসাংয়ের স্মার্ট টিভির কথা বলা যেতে পারে, এতে গুগল ক্রোমকাস্ট এবং গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বিল্ট-ইন আছে যা ভয়েসের মাধ্যমে কমান্ড নিয়ে অপারেট হয়।

সর্বশেষে একটি স্মার্ট টিভি বেছে নেওয়ার সময় বিনোদনের অ্যাপসগুলো বিবেচ্য বিষয় হতে পারে। ফেসবুক, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইমের মতো অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম বেশিরভাগ স্মার্ট টিভিতেই থাকে, যা সচরাচর ব্যবহৃত হয়। একটি স্মার্ট টিভির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো বিনোদন। কিন্ত এখন স্মার্ট টিভি বিনোদনের গণ্ডি পেরিয়ে দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। স্মার্ট টিভি আপনার জীবনে নিয়ে আসবে আলাদা স্মার্টনেস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।