লন্ডন : ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বৃটিশ ফরেন অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্মারকলিপি দেয়ার আগে কয়েকশ' বাংলাদেশি প্রবাসী ফরেন অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বারবার হামলা চালিয়েছে। শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষকে এ সরকার হত্যা করেছে। গুম করেছে। এবার ৯৫ ভাগ জনগণের সমর্থিত নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা করছে।
এজন্য কমনওয়েলথ এর সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বৃটেনের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এম এ মালেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এমএ সালাম, বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হামিদ চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, আখতার হোসেন, গোলাম রব্বানী, যুগ্ম সম্পাদক নাসিম আহমেদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) সিদ্দিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান মাহতাব, তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল, করিম উদ্দিন, তাজ উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক ড. এম মুজিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাসির আহমেদ শাহীন, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, জাসাস সভাপতি এমএ সালাস, যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল বাসিত বাদশা, এমদাদ হোসেন টিপু, মিছবাহুজ্জামান সোহেল, সোয়ালিন করিম চৌধুরী, বিএনপি নেতা এস এম লিটন, হেভেন খান, মাওলানা শামীম, তরুণ দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরফু আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, রাজীব আহমেদ প্রমুখ।
ফরেন অফিসের সামনের সমাবেশে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান বলেন, সরকার নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে ও খালেদা জিয়াকে হত্যার উদেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। ফ্যাসিবাদী বাকশালের জননী শেষ হাসিনার নির্দেশেই এ হামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা গণতন্ত্রের ওপর হামলার শামিল। জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার লক্ষে শক্তি প্রয়োগ করে নির্বাচন বানচাল করার কৌশল হিসেবে এ হামলা। শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে বিদায় করেই এ হামলার বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন তিনি। এক্ষেত্রে বৃটিশ সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেন বিএনপির কূটনৈতিক সম্পর্ক দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যতম এই শীর্ষ নেতা।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এমএ মালেক বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত হামলার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি, তারা নিশ্চুপ। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তারা এ বিষয়ে সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে। তবে সরকারকে মনে রাখতে হবে, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার দায় দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে। সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ এ ধরনের ঘটনার জন্য সরকারকে ধিক্কার জানাচ্ছে। হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং ন্যাক্কারজনক বলে অভিহিত করেন তিনি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস বলেন, এভাবে রক্তের হোলিখেলা আর ইস্যু চাপা দেয়ার নাটক করে শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। জনতার ভয়ে কম্পিত হাসিনাকে বিদায় নিতেই হবে। এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৫
আরআই