ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডন

ইইউতে থাকার পক্ষে লেবার পার্টির সংবাদ সম্মেলন

সৈয়দ আনাস পাশা, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৬
ইইউতে থাকার পক্ষে লেবার পার্টির সংবাদ সম্মেলন

লন্ডন থেকে: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রোশনারা আলী বলেছেন, বাঙালী নিয়ন্ত্রণাধীন কারি ইন্ডাস্ট্রির 'ব্রেক্সিট' (ব্রিটেন এক্সিট ফ্রম দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) সমর্থক কোনো কোনো নেতা তাদের ক্যাম্পেইনের স্বার্থে কারি ইন্ডাস্ট্রির নাম ব্যবহার করছেন।

বুধবার (০৮ জুন) সেন্ট্রাল লন্ডনে লেবার পার্টির প্রধান কার্যালয়ে পার্টির ব্ল্যাক অ্যান্ড এশিয়ান মাইনোরিটি এথনিক (বিএএমই) গ্রুপ আয়োজিত ‘ব্রিমেইন’ (ব্রিটেন রিমেইন) ক্যাম্পেইনের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ইইউ থেকে ব্রিটেন বের হয়ে এলে কারি ইন্ডাস্ট্রির স্টাফ সংকট পূরণে এশিয়ান দেশগুলো থেকে কর্মচারী আনা যাবে- এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ অভিযোগ করেন রোশনারা।

ইইউ থেকে ব্রিটেন বের হয়ে এলে কারি ইন্ডাস্ট্রির চলমান সংকট মোকাবেলা সহজ হবে- এমন প্রচারণার সমালোচনা করে রোশনারা বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো ইউরোপিয় ইউনিয়ন সংকটে পরিণত করার চেষ্টা করছেন ব্রেক্সিট সমর্থক আমাদের বন্ধুরা, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ইইউ ত্যাগ বা ইইউতে থাকার গণভোটে এ ইস্যু মোটেই সম্পর্কিত নয়। এমন প্রচারণা শুধুই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বলেও মন্তব্য করেন রোশনারা।

তিনি বলেন, কারি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িতদের এটি বুঝতে হবে যে, 'ব্রেক্সিট' ক্যাম্পেইনে ব্যবহৃত হওয়ার চেয়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সংকট অভ্যন্তরীণভাবে সমাধানের চেষ্টাই হবে উত্তম।

কারি ইন্ডাস্ট্রি সংকট ছাড়াও জীবনসঙ্গী আনতে সর্বনিম্ন ১৮ হাজার পাউন্ড বেতন থাকার বিষয়টিও ব্রেক্সিটের প্রচারণায় আনার সমালোচনা করেন রোশনারা। তিনি বলেন, ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কহীন এমন প্রচারণায় ভোটারদের অসম্মান করা হয়।

আগামী ২৩ জুনের গণভোটে ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে ব্ল্যাক অ্যান্ড এশিয়ান কমিউনিটির সমর্থন কামনা করে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে রোশনারা ছাড়াও আরও চার প্রভাবশালী লেবার এমপি কেইট ওসামর (Kate Osamor), আলেন জনসন (Alan Johnson), সিমা মালহোত্রা (Seema Malhotra) ও চোকা উমুন্না (Chuka Umunna) বক্তব্য রাখেন।

প্রত্যেকেই তাদের বক্তব্যে ইইউতে থাকার পক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে ২৩ জুনের গণভোটে ‘ব্রিমেইন’ (ব্রিটেন রিমেইন) এর পক্ষে ভোট দিতে বিএএমই কমিউনিটির প্রতি আহবান জানান। ইকোনমি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে ব্রিটেনের ইইউতে থাকার বিকল্প নেই- এমন মন্তব্য করে তারা বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতৃস্থানীয় দেশ ব্রিটেন। ইইউতে থেকেই সম্ভব বিশ্ব রাজনীতিতে ব্রিটেনের নেতৃত্বের ভূমিকা অব্যাহত রাখা।

ইইউ থেকে বের হয়ে এলে ব্রিটিশ অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে লেবার পার্টির প্রভাবশালী ওই এমপিরা বলেন, ‘আজকের গ্লোবাল বাস্তবতায় সারা বিশ্বই আমাদের জব মার্কেট। ইইউ ত্যাগ করলে এই জব মার্কেট সংকুচিত হবে’।

ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটি সম্পর্কে ইউকিপ নেতা নাইজেল ফরাজের সাম্প্রতিক আপত্তিকর মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে লেবার এমপিরা বলেন, ‘ইইউ থেকে বের হয়ে এলে বর্ণবিদ্বেষের উস্কানিদাতাদের তৎপরতা এমন বেড়ে যাবে যে, ব্রিটিশ সোসাইটির ঐতিহ্যবাহী মাল্টি কালচার, মাল্টি রিলিজিয়াস পরিচয়ই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে’।

তারা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) থাকলে ব্রিটেন নিরাপদ, শক্তিশালী ও ভালো থাকবে, যা এশিয়ান ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মানুষসহ সবার জন্যে লাভজনক’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
এসএপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লন্ডন এর সর্বশেষ