এ উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে রোমের কেন্দ্রস্থল ভিত্তোরিও পার্কে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর পরপরই বাঙালিদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় একুশের কালজয়ী গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি গাওয়ার মধ্যে দিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারির রাত ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এছাড়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত মর্মস্পর্শী দেশাত্মবোধক গানও পরিবেশন করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তারা একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাঙালি জাতির ও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় অনবদ্য অবদানের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে সবশহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় বক্তব্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তায়নের পথে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাইরে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি পালন ও চর্চা করার জন্য উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
আরবি/